স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) শৌচাগারে পাওয়া গেলো ২৯টি কম্পিউটারের মাদারবোর্ড ও প্রসেসর। তদন্তে এসে সোমবার (২২ মার্চ) বিকেলে এসব উদ্ধার করে নগরীর শাহমখদুম থানা পুলিশ।
আইটি ভবনের তৃতীয় তলার ৩০৭ নম্বর কক্ষটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ল্যাব হিসেবেই ব্যবহার হয়ে আসছিল। সেখানকার শৌচাগারের ফলস ডেকোরেটিভ সিলিং এ লুকানো ছিল ল্যাব থেকে গায়ের হয়ে যাওয়া এসব যন্ত্রাংশ।
সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, গত ২০ মার্চ বিকেল ৩টা থেকে ২১ মার্চ বিকেল ৩টার মধ্যে সেখানকার ৩০ কম্পিউটারের ২৯টিরই মাদারবোর্ড, হার্ডডিস্ক, র্যাম, প্রসেসরসহ সব যন্ত্রাংশ গায়েব হয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
এনিয়ে সোমবার (২২ মার্চ) শাহমখদুম থানায় মামলা দায়ের করেন টিটিসির অধ্যক্ষ প্রকৌশলী এসএম ইমদাদুল হক। মামলা নম্বর ৯। এই মামলায় আসামীর নাম উল্লেখ করা হয়নি। অভিযোগ পেয়ে জড়িতদের শনাক্ত ও গায়েব যন্ত্রাংশ উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশ।
শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, তদন্তের অংশ হিসেবেই সোমবার বিকেলে তারা ল্যাবের বিভিন্ন অংশে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। ওই সময় ল্যাবের শৌচাগারের ফলস ডেকোরেটিভ সিলিং থেকে লুকানো অবস্থায় ২৯টি মাদারবোর্ড ও প্রসেসর উদ্ধার করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় আট লাখ টাকা। এখনো প্রায় দুই লাখ টাকার কম্পিউটার যন্ত্রাংশ পাওয়া যায়নি। যদিও টিটিসির হিসেবে চুরি যাওয়া যন্ত্রাংশের দাম কিছুটা কম।
ওসি আরো বলেন, অপরাধীদের শনাক্তে প্রযুক্তির সহায়তা নেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে টিটিসির বেশ কিছু সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। তাছাড়া নগরজুড়ে রয়েছে আরএমপির আরো সিসি ক্যামেরা। সেগুলোর তথ্য নিয়ে বিশ্লেষন করে অপরাধীদের শানাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
এরই মধ্যে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। আরো কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হবে। উদ্ধার হওয়া মালামাল থেকে আঙুলের ছাপও নেয়া হয়েছে। খুব দ্রুতই জড়িতদের আইনের আওতায় আনার কথাও জানান ওসি।
এদিকে, টিটিসির অধ্যক্ষ প্রকৌশলী এসএম ইমদাদুল হক জানান, ২১ মার্চ বিকেল ৩টার দিকে একজন প্রশিক্ষক জানালা দিয়ে বাইরে থেকে কম্পিউটার ল্যাবটি তছনছ অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে তিনি সহকর্মীদের নিয়ে ল্যাবে যান।
খবর দেন পাশের শাহমখদুম থানার ওসিকে। তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। একই সাথে সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত নেয়। এরপর থেকেই চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
অধ্যক্ষ আরো বলেন, প্রতি রাতে টিটিসির দুই প্রবেশ পথে দুজন করে চারজন নিরাপত্তা রক্ষী দায়িত্বপালন করেন। এর ভেতরেই এমনকাণ্ড কি করে ঘটলো তা খুঁজে বের করতে নিজেরাও তদন্ত করছেন। তাছাড়া আইন-শৃংখলা বাহিনীর তদন্তে সর্বাত্মক সহায়তাও দিচ্ছেন। তার আশা-খুব দ্রুতই ধরা পড়বেন অপরাধীরা।
রাজশাহী টিটিসির ল্যাবে চুরি শৌচাগারে মিলল ২৯ মাদারবোর্ড
মার্চ ২৩
০৭:২৬
২০২১