মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগামারা: বাগমারার হাট বাজার থেকে শুরু করে পাড়ায় মহল্লায় সর্বত্রই বেড়ে গেছে পলিথিনের ব্যবহার। বিশেষ করে এখন গ্রামে গ্রামে ইসলামী জালসা ও মাহফিলের ব্যাপক প্রচলন শুরু হওয়ায় এসব স্থানের খাদ্য সামগ্রী বিক্রেতারা পলিথিনের ব্যাগে ভরে হরদম খাদ্য সামগ্রি বিক্রি করে থাকেন।
জানা গেছে এসব পলিথিনের অধিকাংশই ফুড গ্রেডেড বা খাদ্য সহায়ক না হওয়ায় তা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুকি সৃষ্টি করে থাকে। এছাড়া এলাকার প্রতিটি হাট বাজারে মাছ মাংস থেকে শুরু করে তরিতরকারিসহ সকল প্রকার খাদ্য সামগ্রি বিক্রিতে এখন পলিথিনই একমাত্র ভরসা।
স্থানীয় হাটবাজার গুলোতে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতা বা ভোক্তারা তাদের ব্যবহৃত পলিথিন গুলো যত্রতত্র ভাবে এখানে সেখানে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে দেখা যায় পরিত্যক্ত এসব পলিথিন গুলো বাজারের ড্রেনে বা নালা নর্দমায় জমে থেকে জলাবদ্ধতাসহ নানান ভাবে প্রাকৃতিক বিপর্যয় সৃষ্টি করে।
সরকার পলিথিন নিষিদ্ধ করলেও এই আইনের কেহ তোয়াক্কা করছে না। খোজ নিয়ে জানা গেছে ভবানীগঞ্জ ও তাহেরপুর বাজারের কয়েকটি মহাজনি ব্যবসায়ী অন্যান্য ব্যবসার আড়ালে গোপনে পলিথিন বিক্রি করে থাকেন। তাদের বিক্রয়কৃত এসব পলিথিন পরিবেশ বান্ধব না হওয়ায় তাতে মারাত্বক ভাবে পরিবেশর ক্ষতি সাধন করে চলেছে। বিষয়টি প্রশাসনের নাকের ডগার সামনে হলেও তারা এসব বিষয় দেখেও না দেখার ভান করে চলেছে বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল।
তাদের দাবী পরিবেশের বিঘ্ন্নসৃষ্টিকারী এসব পলিথিনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা সহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন সহ উর্দ্ধতন মহলের সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ জানান, পলিথিন পরিবেশের জন্য একটি মারাত্মক বিষ। আমরা এ বিষের ব্যবহার ও বিস্তার কোন ভাবেই মেনে নিতে পারিনা। কারা এ ব্যবসার সাথে জড়িত আমরা সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছি। অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
হাট-বাজারে বাড়ছে পলিথিনের ব্যবহার
মার্চ ১৬
০৬:৩৭
২০২১