স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় এর ৯১তম প্রয়াণ দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি পালনে রাজশাহী থিয়েটার বিকেল ৪টায় শাহ মখদুম কলেজে ‘অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় : এক বিরল প্রতিভাধর বাঙালি’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে।
বিশিষ্ট লেখক, গবেষক অধ্যক্ষ তসিকুল ইসলাম রাজার সভাপতিত্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার মো. সফিকুল ইসলাম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের টি.এস.সি.সি এর উপ-পরিচালক নাট্যজন আহসান কবির লিটন। সেমিনারে রাজশাহীর গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সংস্কৃতিজন এবং ইতিহাস প্রেমিরা উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, কবি রুহুল আমিন প্রামানিক, ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি ডাঃ এফ এম এ জাহিদ,সভাপতি, অধ্যাপক সুজিত সরকার, নজরুল গবেষক পীযুষ কুমার ভট্টাচার্য, হেরিটেজ রাজশাহীর সভাপতি মাহাবুব সিদ্দিকী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, মাহমুদ হোসেন মাসুদ, খেলাঘর সাধারণ সম্পাদক আফতাব হোসেন কাজল, অধ্যাপক রহমান রাজু, অধ্যক্ষ রেজাউল করিম, কবি আরিফুল হক কুমার, দৈনিক সোনার দেশের সম্পাদক হাসান মিল্লাত, রাজশাহী সেক্টর কমান্ডার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগারের সভাপতি আব্দুল লতিফ চঞ্চল, অধ্যক্ষ আলমগীর মালেক, সংস্কৃতজন মজিদা আক্তার বীথি ও নাট্যজন কামারউল্লাহ সরকার প্রমুখ। এবছর (২০২১) অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় সম্মাননার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট নাট্যজন মলয় ভৌমিক।
উল্লেখ্য, প্রখ্যাত বাঙালি ইতিহাসবেত্তা, লেখক, আইনজীবি ও সমাজকর্মী অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় ১৮৬১ সালের ১ মার্চ নওগাঁ জেলার গৌরনাইয়ের বরেন্দ্র বর্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার (বর্তমান কুষ্টিয়া জেলার) মিরপুর থানার শিমুলিয়া গ্রামে মায়ের মামার বাড়িতে তার জন্ম। তার পড়াশোনায় হাতেখড়ি ঘটে হরিনাথ মজুমদারের কাছে; কুমারখালীর একজন আদর্শ শিক্ষক হরিনাথ মজুমদার কাঙ্গাল হরিনাথ নামে সমধিক পরিচিত ছিলেন। দশ বছর বয়সে মৈত্রেয় রাজশাহীতে তার বাবার কাছে চলে যান। বাবা মথুরানাথ মৈত্রেয় রাজশাহীতে ওকালতি করতেন। মৈত্রেয় তৎকালীন বোয়ালিয়া ইংলিশ স্কুল (বর্তমানে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল) থকে ১৮৭৮ সালে এনট্রান্স পাশ করেন এবং ১৮৮০ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে এফএ পাশ করেন। ১৮৮৩ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিএ এবং ১৮৮৬ সালে আবার রাজশাহী কলেজ থেকে বিএল পাশ করেন। একই বছর তিনি রাজশাহীতে আইন ব্যবসা শুরু করেন।
তিনি বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার তৎকালীন নেতৃস্থানীয় আইনজীবী ছিলেন। মানবিক জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায়, বিশেষ করে ইতিহাস, সাহিত্য, ভাষা, সংস্কৃতি. চিত্রকলা এবং প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ে তার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। ধারণা করা হয় তার বিচক্ষণতায় প্রভাবিত হয়েই শরৎকুমার রায় বরেন্দ্র রিসার্চ সোসাইটি এবং বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
রাজশাহীতে অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়’র ৯১তম প্রয়াণ দিবস পালন
ফেব্রুয়ারি ১১
০৬:৪৩
২০২১