স্টাফ রিপোর্টার: নিয়োগকে কেন্দ্র করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির রেশারেশিতে রাজশাহীর মোহনুপরে এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুইজন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন-অতঃপর অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ। উপজেলার বড়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তার দায়িত্ব ফিরে পেতে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন।
আবেদনপত্র থেকে জানা গেছে, গতবছরের ২৭ অক্টোবর কার্যনির্বাহী কমিটির লিখিত রেজুলেশনের মাধ্যমে বড়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান মো. আব্দুল খালেক মন্ডল। এরপর বিদ্যালয়ের সভাপতি ও রায়ঘাটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পদে কোন ধরনের জটিলতা ও মামলা নাই-এমন প্রতিবেদন দাবি করেন। কিন্তু ওই দুটি মামলা থাকায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল খালেক মন্ডল এই অবৈধভাবে প্রতিবেদন দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে হুমকী-ধামকি দিতে থাকে। সভাপতি গোপনে বিনা নোটিশে এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল খালেক মন্ডলের কাছে থেকে বিদ্যালয়ের কোনরূপ কাগজপত্র না নিয়ে আবারো সহকারি শিক্ষক আব্দুল মজিদকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেন। পাশাপাশি সম্পূর্ণ অন্যায়, অবৈধ ও বেআইনীভাবে নিয়োগবোর্ড গঠন করেন এবং প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেন।
ভুক্তভোগি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল খালেক মন্ডল বলেন, সভাপতি সাহেব একই পদের জন্য কয়েকজন প্রার্থীর কাছে থেকে মোটা অংকের টাকা গ্রহণ করেন। তাদের চাপে তিনি অবৈধ্যভাবে নিয়োগ দেন। তিনি রেজুলেশনকৃত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হলেও তার কাছে থেকে প্রদত্ব দায়িত্ব বুঝিয়ে নেয়া হয়নি। এতে তিনি বিশ্বাস করেন নিয়োগটি বৈধভাবে হয়নি।
মোহনপুরে অবৈধভাবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ
Spread the love
ফেব্রুয়ারি ১১
০৬:৪০
২০২১