সানশাইন ডেস্ক : বায়ান্নর ফেব্রুয়ারির প্রথম দুই সপ্তাহজুড়েই চলছিল চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি। তাই একুশ ফেব্রুয়ারির আগে মিটিং-মিছিলে ছাত্রদের পাশাপাশি আপামর মানুষের মাঝেও বিরাজ করেছে সংগ্রামী চেতনা। সেই সুবাদে সকলেই চাইছিলেন প্রতিরোধ কিংবা সরাসরি সংগ্রামের কর্মসূচী। আর এমন বাস্তবতায় ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে ঢাকা শহরে সমাবেশ ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করে দেয় পূর্ববঙ্গ সরকার। নিষেধাজ্ঞা জারির সরকারী সেই নির্দেশে বলা হয়, ‘ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ১৪৪ ধারার আদেশ জারি করিয়া এক মাসের জন্য ঢাকা শহরে সভা, শোভাযাত্রা প্রভৃতি নিষিদ্ধ করিয়াছেন।’ আর আদেশ জারির অজুহাত হিসেবে বলা হয়, ‘একদল লোক শহরে সভা, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের প্রয়াস নেয়ায় এবং তদ্বারা জনসাধারণের শান্তি ও নিরাপত্তা বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকায় এই ব্যবস্থা অবলম্বিত হইয়াছে। কোতোয়ালি, সূত্রাপুর, লালবাগ, রমনা ও তেজগাঁও থানার অন্তর্গত এলাকায় ইহা প্রবর্তিত হইয়াছে।’
জনমনে ভীতি ছড়াতে সেদিন চিরাচরিত কৌশল অবল গ্রহণ করেছিল সরকার। উল্টোদিকে ১৪৪ ধারা জারি করায় পরিস্থিতি হিতে বিপরীত হয়। ফলশ্রুতিতে চরম বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। সরকার একটি গুজবও ছড়িয়ে দেন যে হাসপাতালে নাকি অনেক শয্যাও খালি করা হয়েছে, যাতে একুশে ফেব্রুয়ারি শান্তিভঙ্গের কারণে যারা আহত হবেন তাদের ভর্তি করা যায়।
অহঙ্কারের একুশে
ফেব্রুয়ারি ১০
০৭:১৮
২০২১