স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা: দেশের বিভিন্ন স্থানে জনদুর্ভোগ দুর করতে সরকারি জায়গায় গড়ে উঠে অবৈধ স্থাপনা। তবে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চিত্র একটু ভিন্ন। এখানে মাজার শরীফের জমিতে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে প্রায় দুই শতাধিক দোকান (স্থাপনা)। ফলে একদিকে যেমন প্রধান পাকা রাস্তা থেকে ৫শ’ বছরের ঐতিহাসিক শাহী মসজিদ, মাজার, দিঘী ও জাদুঘর দেখা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন হাজার-হাজার দর্শনার্থীরা। সম্প্রতি এসব স্থাপনা সরিয়ে ফেলার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হলেও অদ্যাবধি তা কার্যকর হয়নি। ফলে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, আমাদের দেশে অন্যের জায়গায় অন্যায় ভাবে স্থাপনা গড়ে তোলার প্রবণতা অত্যন্ত প্রবল। এ ‘অন্য’ যদি হয় রাষ্ট্র বা সরকারি কোনো খাস জমি কিংবা ফুটপাত তাহলে তো অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার হিড়িক পড়ে যায়। কোন-কোন ক্ষেত্রে হাট-বাজার এলাকায় খাস জমিতে অবৈধভাবে দোকানপাট, এমনকি পাকা মার্কেটও গড়ে তোলা হয় রাতারাতি। তার পরে প্রশাসনের টনক নড়ে।
তবে বাঘা উপজেলার চিত্র অনেকটা ভিন্ন। এখানে গত একবছর ধরে প্রায় দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা দোকান পাট নির্মাণ করা হয়েছে দেশীয় পঞ্চাশ টাকার নোটে ছাপানো মুঘল আমলের ঐতিহাসিক বাঘা শাহী মসজিদ এলাকায়। ফলে একদিকে যেমন রাজশাহী-ঈশ্বরদী গামী পাকা রাস্তা থেকে মসজিদসহ হযরত শাহদৌলা (রা:) মাজার, দিঘী ও পরবর্তী সময়ে নির্মিত জাদুঘর দেখা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে প্রতিনিয়ত নানা বিড়ম্বনা এবং হয়রানির শিকার হচ্ছেন দুর-দুরান্ত থেকে বনভোজন করতে আসাসহ ভ্রমণ পিপাসুরা।
এ বিষয়ে বাঘা পৌর মেয়র আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মাজার এবং মসজিদ এলাকার জমির অথরাইজ মাজার কর্তৃপক্ষ। এ কমিটিতে যদিও আমি আছি, তবে আমার উপরে রয়েছেন এডিসি রেভিনিউ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। আমার চাওয়া, এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করার পাশা-পাশি তাদের আলাদা কোন স্থানে পূনর্বাসন করা হউক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, বাঘার ঐতিহাসিক শাহী মসজিদ এলাকা থেকে সকল অবৈধ স্থাপনা (ব্যবসা প্রতিষ্ঠান) সরিয়ে ফেলার জন্য প্রায় একমাস পুর্বে মাইকিং করিয়ে ছিলাম। মাঝখানে আড়ানী পৌর নির্বাচন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই নিয়ে ব্যস্থ থাকায় সময় কালক্ষেপন হয়েছে। আতি দ্রুত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাঘা মসজিদ ও মাজারের জায়গা দখল করে স্থাপনা
ফেব্রুয়ারি ০১
০৫:৩০
২০২১