মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগমারা: ঘন কুয়াশা আর শৈত প্রবাহের কারণে বাগমারায় নষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে বোরো বীজতলা। প্রতিবছর এ ঘন কুয়াশায় বীজতলা গুলো হলুদ বিবর্ণ হয়ে পড়ে। এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য কৃষক পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দেওয়া শুরু করে। এতে তারা ভাল ফল পেতে থাকে। ইতিমধ্যে এই পদ্ধতিটি এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। এতে খরচ তেমন বেশি না হলেও কৃষক এতে পদ্ধতি ব্যবহার করে বেশ উপকুত হতে শুরু করেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাগমারায় এবার ২০ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। গতবছর এই লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল ১৯ হাজার ৫শ হেক্টর।
গত ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে কৃষকরা বাড়ির আশে পাশে খাল বিলে বোরো বীজ তলা তৈরি করা শুরু করে। কিন্তু প্রতি বছর ঘর কুয়াশা ও শৈত প্রবাহের কারণে তা নষ্ঠ হয়ে যায়। এতে কৃষকরা পড়েন বিপাকে। কৃষকদের এই চারার চাহিদা মেটাতে তাদেরকে বাইরে থেকে চারা আনতে হতো। পরে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষকরা তাদের বীজ তলায় পলিথিন পেপার ব্যবহার শুরু করে। এতে তারা বেশ ভালো ফল পেতে থাকে। ক্রমে দু’একজন কৃষকের দেখাদেখি এই পদ্ধতি গোটা উপজেলায় ছড়িয়ে পড়তে থাকে। মাড়িয়ার কৃষক লুৎফর রহমান ও কাচারীকোয়ালীপাড়ার কৃষক মকলেছুর রহমান জানান, বোরো বীজতলায় পলিথিন পদ্ধতি প্রয়োগ করে তারা বেশ ভালো ফল পাচ্ছেন। এতে বীচ তলা সহজে নষ্ট হয় না। দ্রুত চারা বেড়ে ওঠে। সময় মত সেসব চারা রোপন করা যায়। পরে বাড়তি চারা তারা বাজারে বিক্রি করে দেন। ভবানীগঞ্জের কৃষক আব্দুস সামাদ জানান, বীজতলায় পলিথিন পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। গত তিন বছর ধরে তিনি এই পদ্ধতিতে বীজ উৎপাদন করে করে আসছেন। এতে চারা নষ্ঠ হয় না। সময় মত রোপন করা যায়। এতে উৎপাদনও বেশ ভালো হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাজিবুর রহমান জানান, তীব্র শীত ঘন কুয়াশা বোরো চারার জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই বাগমারা এলাকার কৃষকদের পলিথিন দিয়ে বীজতলা তৈরির পরামর্শ দিয়ে আসছি আমরা। এতে কৃষকরা সুফল পাচ্ছে এবং লাভবান হচ্ছে।
মড়কের সুরক্ষায় কৃষকের বীজতলা পলিথিনে ঢাকা
জানুয়ারি ২২
০৭:০০
২০২১