
মওদুদ আহম্মেদ, আক্কেলপুর: জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে অনুমোদনহীন অরক্ষিত রেল ক্রসিং গুলোতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এতে দুর্ঘটনার আশংকা বাড়ছে এবং বাড়ছে মৃত্যু। তবে সর্তকতার সাথে রেল ক্রসিংগুলো পারাপারের পরামর্শ রেল বিভাগের।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, আক্কেলপুর উপজেলায় প্রায় সাড়ে ১৮ কি.মি. রেল পথ রয়েছে। এই রেল পথে মোট ১০টি রেল ক্রসিং থাকলেও অনুমোদিত ৫টি লেভেল ক্রসিংয়ে গেইট এবং গেইটম্যান রয়েছে। বাকি ৫টি অনুমোদনহীন অরক্ষিত রেল ক্রসিং। এ রেল ক্রসিং গুলোতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এতে বাড়ছে দূর্ঘটনা সেই সাথে বাড়ছে মৃত্যু। সরেজমিনে উপজেলার মাতাপুর রেল ক্রসিংয়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে রয়েছে অনুমোদিত রেল ক্রসিং। গেইটের ব্যারিকেট রয়েছে কিন্তু নেই গেইট ম্যান, রয়েছে তার থাকার ঘর। গেইট ম্যান না থাকায় চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে রুকিন্দিপুর ইউপির জনমানুষ।
২০০৬ সালের ১১ জুলাই আক্কেলপুর মহিলা কলেজ সংলগ্ন রেল ক্রসিংয়ে বাস-ট্রেন সংঘর্ষে ৩৬ জন বাস যাত্রী প্রাণ হারান। ২০১৯ সালের ২২ জুন উপজেলার কানুপুরে তৎকালীন অরক্ষিত রেল ক্রসিংয়ে মুরগিবাহী ভটভটিতে ট্রেনের ধাক্কায় আব্দুস সালাম (৩৫) নামের এক মুরগি ব্যবসায়ী নিহত হয়। পরে রেল বিভাগ ওই রেলক্রসিংটি অনুমোদন দিয়ে গেইটম্যান নিয়োগ দেন। চলতি বছরের ২১ জানুয়ারী উপজেলার জামালগঞ্জ রেল ষ্টেশনের আউটার সিগনালের কাছে অরক্ষিত রেল ক্রসিংয়ে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটি গামী আন্তঃনগর তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় কলাবাহী ভটভটি দুমড়েমুচরে যায় এবং ঘটনাস্থলেই চালক মোখলেছুর রহমান (৩৬) নিহত হন।
স্টেশন মাষ্টান খাতিজা খাতুন বলেন, ‘অরক্ষিত রেল ক্রসিং গুলোর বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন। অনুমতি ছাড়া রেল ক্রসিং গুলোতে সাবধানে চলাচল করা উচিৎ’।
রেলওয়ের সিনিয়র সাব-এ্যসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার বজলুর রশিদ বলেন, ‘এই উপজেলার অনুমোদিত প্রতিটি লেভেল ক্রসিংয়ে রাত-দিন গেইটম্যানরা নিয়মিত ডিউটি করছেন। প্রতিটি লেভেল ক্রসিংয়ে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড দেওয়া আছে এবং সকলকে সে গুলো দেখিয়ে চলতে বলা হয়েছে। যদি কেউ অসাবধান বশত দুর্ঘটনার শিকার হয় এর দায় রেলের নয়’।