
স্টাফ রিপোর্টার : ভয়ভীতি দেখিয়ে সীমানা প্রাচীর ভাঙ্গার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) এক প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। রোববার ভূক্তভোগী নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার সায়েরা খাতুন এ বিষয়ে আরএমপি কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
পুলিশ কমিশনার বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিতে রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) দায়িত্ব দিয়েছেন। অভিযুক্ত জুলমাত হাবিব রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
ভূক্তভোগী সায়েরা খাতুন বলেন, রোববার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে জুলমাত হাবিব তার ভগ্নিপতি একরামুল হক ও আরো কয়েকজনকে সাথে নিয়ে আমার বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে দিয়ে গেছে। বিভিন্ন গাছ-গাছালি ছিল সেগুলো উপড়ে ফেলেছে। তাদের কাছে কারন জানতে চাইলে জুলমাত হাবিব বলেন, জমি নিতে আরএমপি’র লোকদের কোন দলিল লাগে না; কোন ডকুমেন্ট লাগে না।
তিনি বলেন, এই মাটি আমার ১৯৭৮ সালের। বাড়িটি ৪০ বছর আগের। যে প্রাচীর ভেঙেছে সেটিও ১২-১৩ বছর আগে নির্মাণ করা। আমার বাসার পিছনে আমার বোনের কিছু জমি আছে। যেহুতু আমার বোন তাই আমি রাস্তার জন্য ৬ ফিট জায়গা দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা জোর করে এখন ১৫ ফিট রাস্তা চাচ্ছে।
অভিযোগ করে তিনি বলেন, প্রশাসনের ক্ষমতা দাপটে জুলমাত হাবিব আমাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও সামাজিকভাবে অপদস্ত করে জমি দখলের চেষ্টা করেছে। এতে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমি এ বিষয়ে পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত জুলমাত হাবিব বলেন, এটি তাদের বোনদের মধ্যে জমি নিয়ে সমস্যা। স্থানীয় কাউন্সিলরসহ থানা বিষয়টি জানে। প্রাচীর ভাঙ্গার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনা আমি দেখিনি। আপনি যেভাবে শুনেছেন আমিও সেভাবেই শুনেছি। আমি সেখানে ছিলাম না, আমি অফিসে ছিলাম।
এ বিষয়ে রাজপাড়া থানার ওসি বলেন, এমন অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করার জন্য এসআই আবু হায়দারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে রাজপাড়া থানার এসআই আবু হায়দার বলেন, গতকাল সরেজমিনে তদন্ত করেছি। দু’পক্ষের এক পক্ষ বলছে, সেখানে রাস্তা আছে, অপর পক্ষ বলছে রাস্তা নাই। যেহেতু জমি-জমার বিষয় তাই উভয়পক্ষকেই জমির কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়েছে। আর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।