
স্টাফ রিপোর্টার: শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ হসপিটালটির কর্তৃপক্ষের ভাওতাবাজি ও প্রতারণার ফাঁদ বিছানোর মানসিকতা এখনো থামেনি। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও ধোকা দিতে এখনো তৎপর রয়েছে।
সূত্র মতে, শনিবার প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনের কথা ছিলো সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এজন্য মেডিকেল কলেজের প্রতিটি বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রধানদের উপস্থিত থাকা বাধ্যতা মূলক ছিলো। তবে মেডিকেল কলেজটির প্রতিটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নেই। মেডিকেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বাইরে থেকে কয়েকজন কথিত চিকিৎসককে ভারা করে আনেন। শনিবার বেলা ১১টার দিকে এমন ৪জন মেডিকেল কলেজে উপস্থিত হলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হয়। এসময় তারা নবাগত ওই চারজকে তাদের পরিচয় জিজ্ঞেস করে। এসময় ৪জন নিজেদের কখনো পরিদর্শক, কখনোবা নতুন নিয়োগ পাওয়া বিভাগীয় প্রধান শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দেন। তবে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে ওই চারজন মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হন।
ওই ৪জনের এক জনের নাম ডা. কুদ্দুস। তিনি সাংবাদিকদের কাছে নিজেকে ঢাকর একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ আদদীন হসপিটালের সার্জারি বিভাগের প্রধান হিসেবে পরিচয় দেন। এসময় তার পরিচয় নিশ্চিতের জন্য আইডি কার্ড দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেনিনি। এমনকি তার সাথে অন্য তিনজনও তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেননি। তাদের শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজে আসার কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা জানান, শনিবার মেডিকেল কলেজটিতে সরকারের পক্ষ থেকে ভিজিটের কথা ছিলো। এর জন্য তাদেরকে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে ওই ভিজিটিং টিমের কাছে প্রদর্শন করা হতো। এই কাজের জন্য তাদের ভারা করে আনে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। সাংবাদিদের সাথে কথার ফাঁকে দ্রুত এই ৪জন শাহমখদুম কলেজ চত্ত্বর ত্যাগ করেন পালিয়ে বাঁচেন।