স্টাফ রিপোর্টার : পরিবারে অর্থের অভাব। তা থেকে মুক্তি পেতে একবুক স্বপ্ন নিয়ে লিবিয়ায় পড়ি জমিয়েছিলেন রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ভাল্লকগাছি চকপাড়া এলাকার সমেজ উদ্দিনের ছেলে সবুজ (২৭)। সেই স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে সবুজের জীবনে। লিবিয়ায় গিয়ে দালালচক্রের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন তিনি। মুক্তিপণ চায় সাত লাখ টাকা।
লিবিয়ায় জিম্মি হওয়া সবুজের পিতা সমেজ উদ্দিন জানান, তার অভাবের সংসার। নিজেরা একটু ভালো থাকতে তিনি ও তার ছেলে মিলে পরিকল্পনা করেন। ছেলেকে বিদেশ পাঠালে কিছুটা আর্থিক স্বচ্ছলতা মিলবে। সেই চিন্তা থেকে সবুজকে লিবিয়ায় পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে আরো বেশি সর্বনাশ নেমে এসেছে সবুজ ও তার জীবনে।
লিবিয়ায় গিয়ে দালালচক্রের হাতে সবুজ জিম্মি হয়ে পড়েছেন।
সমেজ উদ্দিন আরো জানান, ভিটেবাড়ির একাংশ বিক্রি, ধারদেনা ও ঋণ নিয়ে দালালের মাধ্যমে সবুজকে বিদেশে পাঠানো হয়। বিদেশে গিয়ে তার ছেলে দালালচক্রের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েন।
জিম্মি হওয়া সবুজের বোন সাথী বেগম বলেন, আমার ভাই গত দুই বছর পূর্বে দালালের মাধ্যমে লিবিয়ায় উদ্দেশ্য বাড়ী ছাড়েন। এরপরে অজ্ঞাতনামা দালালরা আমার বাবার কাছে মুক্তিপণ দাবি করে ফোনে বিকাশের মাধ্যমে টাকা চায়। সেইসঙ্গে টাকা না দিলে আমার ভাই সবুজকে প্রাণে মেলে ফেলার হুমকিও দেয়। অনেক কষ্টে আমার বাবা সাড়ে ৭ লাখ দিলেও আরো টাকার দাবি তাদের।
এ বিষয়ে সবুজের পরিবার হতাশা হয়ে পড়েছে। সমেজ উদ্দিন জানান, ছেলেকে বাঁচাতে কি করবে এখন তিনি বুঝতে পারছেন না। কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে সেটিও তিনি জানেন না।
এ ব্যাপারে আইনগত সহায়তা চেয়ে সবুজের বোন মোছাঃ সাথী বেগম বাদী হয়ে পুঠিয়া থানা একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
লিবিয়ায় জিম্মি পুঠিয়ার সবুজ পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি
নভেম্বর ২৬
০৫:০৬
২০২০