প্রেস বিজ্ঞপ্তি: বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগ প্রতি বছরের মত এ বছরও ‘বিশ্ব এ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ-২০২০’ পালন করেছে। করোনা ভাইরাস প্রেক্ষাপটের কারণে এবছর বিশ্ব এ্যান্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ-২০২০ এর সকল আয়োজন ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. একরামুল ইসলামের সভপতিত্বে এবং ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থী মিম ইয়াসমিনের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল সেমিনারের সূচনা করা হয়।
বিশ্ব এ্যান্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ-২০২০ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপ-উপাচার্য প্রফেসর শহীদুর রহমান। বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমেদ এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজিস্ট ডা. খন্দকার ফয়সাল আলমসহ বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীরা ।
সেমিনারের শুরুতে বিশ্ব এ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ-২০২০ এর প্রেক্ষাপটে এ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টেন্স সম্পর্কিত এক প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী একেএম শাফিউর রহমান। পরে বক্তব্য প্রদান করেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজিস্ট ডা. খন্দকার ফয়সাল। তিনি সেমিনারে বলেন, ১৯৮৭ সালে শেষ এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার হয়েছিলো। এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের জন্য তিনি ডাক্তার, বিভিন্ন ফার্মেসী এবং সাধারণ মানুষকে দায়ী করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমেদ বলেন-২০১৬ সালের ঔষধ নীতিমালা অনুসরণ করলে সকল ওষুধের অযৌক্তিক ব্যবহার বন্ধ করা যাবে। তিনি আরও বলেন মুরগী, মাছ ও গবাদিপশুর খামারে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার হচ্ছে। সরকারি আইন ও নীতিমালা প্রয়োগের মাধ্যমে এই অপব্যবহার বন্ধের আহবান জানান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য প্রফেসর শহীদুর রহমান তাঁর মতামত ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন- আগে পূর্ব-পুরুষরা মারা গেছে এন্টিবায়োটিকের অভাবে। এখন মারা যাচ্ছে এন্টিবায়োটিকের কারনে।
ফার্মেসী বিভাগের বিশ্ব এ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ-২০২০ পালন
নভেম্বর ২৫
০৬:১০
২০২০