
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ (সদর) আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা তার পিতা অ্যাডভোকেট খন্দকার আশরাফ হোসেনের কবর জিয়ারত করেছেন। সোমবার সকালে রাজশাহী নগরীর মহিষবাথান কবরস্থানে গিয়ে তিনি পিতার কবর জিয়ারত করে দোয়া করেন।
এ দিন ছিল রাজশাহীর বিশিষ্ট আইনজীবী খন্দকার আশরাফ হোসেনের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯১ সালের ২৩ নভেম্বর খন্দকার আশরাফ হোসেন ইন্তেকাল করেন। ১৯১৯ সালে জন্ম নেয়া খন্দকার আশরাফ ১৯৫৩ সালের ২০ মার্চ আইনজীবী হিসেবে রাজশাহী বারে যোগদান করেছিলেন।
১৯৫৭ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গঠিত হলে তিনি সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। ’৫০ ও ’৬০-এর দশকে তিনি প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ভূমিকা পালন করে মৌলিক গণতান্ত্রিক সদস্য নির্বাচিত হন। ’৬০-এর দশকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখায় তিনি রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রশংসিত হন। আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনেও মরহুম খন্দকার আশরাফ হোসেনের ভূমিকা ছিল বলিষ্ঠ। ’৬৯-এর গণআন্দোলন সংগঠিত করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
অ্যাডভোকেট খন্দকার আশরাফ হোসেন ১৯৮৩-৮৪ সালে রাজশাহী আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামেও সাহসী ভূমিকা পালন করেন। তিনি রাজশাহী কোর্ট একাডেমী স্কুলের প্রতিষ্ঠালগ্নের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন। তিনি আইন মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেন।
এছাড়া তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড, রেশম বোর্ডসহ বহু প্রতিষ্ঠানের আইন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার কবর জিয়ারত ও দোয়া করতে গিয়ে সন্তান ফজলে হোসেন বাদশা কবরের সামনে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।