মাহে রমজান

সানশাইন ডেস্ক: মাহে রমজান আমাদের সামনে নিয়ে এসেছে সুস্থ থাকা এবং নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর চমৎকার সুযোগ। রমজান আত্মশুদ্ধির মাস হিসেবেই সাধারণভাবে পরিচিত। কিন্তু আমরা যদি খুব গভীরভাবে দেখি তাহলে আমরা দেখব যে রমজান হচ্ছে শারীরিক, মানসিক, পারিবারিক, সামাজিক ও আত্মিকভাবে সুস্থ থাকা, ভাল থাকার মাস। তবে প্রচলিতভাবে আমাদের রোজা পালনে অনেক অশুদ্ধ জীবনাচার দেখা যায়। বিশেষ করে ইফতার ও সেহেরীতে খাদ্য উৎসব। আমরা হাজার বছর ধরে বুঝিনি কেন রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে, তোমরা রোজা রাখো যাতে তোমরা সুস্থ থাকতে পারো।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস এবং হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা দিয়ে তাবারানিতে খুব পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে, ‘রোজা রাখো যাতে তোমরা সুস্থ থাকতে পারো।’
একসময় আমাদের কারো কারো মধ্যে ধারণা ছিল যে রোজা রাখলে সে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। এই ধারণা যে কত ভ্রান্ত ছিল রসুলুল্লাহর (সা.) এই বাণী যে কত নির্ভুল, এই নির্দেশনা যে কত নির্ভুল তা প্রথম বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করলেন জাপানি গবেষক ইউশিনোরি ওশুমি।
তিনি তার গবেষণায় খুব সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করেছেন রোজা বা উপবাস কীভাবে দেহকে টক্সিনমুক্ত করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। অটোফেজি নামে এই গবেষণার জন্যে তিনি নোবেল পুরস্কার পান।
অটোফেজি বা রোজা বা উপবাস নিয়ে প্রচুর গবেষণা হয়েছে এবং তাতে খুব পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে যে প্রদাহ, জ্বালাপোড়া, ব্যথা, সংক্রমণ, ফুলে যাওয়া এটা উপবাসে কমে যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। বার্ধক্য প্রতিরোধ করে। মস্তিষ্ক ক্ষুরধার হয়।
অটোফেজিকে জাপানি গবেষক ওশুমি যেভাবে শরীরের শুদ্ধি প্রক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করেছেন, সেই একই বর্ণনা আমরা পাই ইবনে মাজাহ শরিফে হযরত আবু হুরায়রা বর্ণিত রসুলুল্লাহ’র (সা.) হাদীসে। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সবকিছুর যাকাত রয়েছে। যাকাত অর্থ হচ্ছে শুদ্ধি প্রক্রিয়া, শরীরের যাকাত হচ্ছে রোজা।


প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৪ | সময়: ৬:২৭ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ