করোনার সংক্রমণ
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো চারজন আক্রান্ত হয়েছে। গতকাল প্রেস ব্রিফিংয়ে সর্বশেষ এই তথ্য জানানো হয়। রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদা সেব্রিনা আরো জনান এই নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪শ দাঁড়িয়েছে। এ সময় একজন মারা গেছেন। তাঁর বয়স ৭০ উর্ধ্ব এবং তিনি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস, কিডনী হ্রদরোগসহ বহুবিধ রোগে পূর্ব থেকে আক্রান্ত ছিলেন। এই অবস্থায় তার শরীরে করোনার সংক্রমণ হয় এবং শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাঁচানো যায়নি। এটিই দেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর ঘটনা। করোনাভাইরাসে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও এতে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। কেননা এখনো দেশে যতগুলো সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে তার সবটাই বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তি এবং তাদের মাধ্যমে নিজ পরিবারের সদস্য। অর্থাৎ সমাজে এটা ছড়িয়ে যায়নি ও কেউ দেশের ভেতরে চলাচলে কোন ভাবে আক্রান্ত হয়নি। এটি আশার কথা।
এই অবস্থায় বিদেশ থেকে যারা দেশে এসেছেন এবং এখনো আসছেন তাদের সবার যেমন স্বাস্থ্য পরীক্ষার দরকার তেমনি এদের পরিবারের মাঝে থাকার ক্ষেত্রে হোক কোয়ারেন্টন যথাযথ ভাবে অনুসরণ করা দরকার। স্পষ্টত:ই তাহাদের অসচেতনার কারণে পরিবার সদস্যরা আক্রান্ত হয়েছে এবং যথেষ্ট ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আর এই অসচেতনতার কারণে এসব ব্যক্তিদের কারো কারোর মাধ্যমে সমাজে ভাইরাসটি ছড়াতে পারে। তাই এক্ষেত্রে বিদেশ থেকে দেশে আসাদের অধিক সচেতন হতে হবে সব তথ্য স্বাস্থ্য বিভাগকে জানতে হবে।
আইইডিসিআর এ বিষয়টির উপর জোর দিয়েছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও স্বাস্থ্য পরীক্ষার উপর জোর দিয়েছে। করোনা ভাইরাস মহামারির প্রকোপ কমিয়ে আনতে সন্দেহ ভাজনদের তাই পরীক্ষার কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আমরাও মনে করি পরীক্ষার কোন বিকল্প নেই এবং এটি করতেই হবে। এক্ষেত্রে কাউকেও কোন ভাবেই ছাড় দেয়া যাবে না। যদি কোন সরকারেরর এই পদক্ষেপ এড়িয়ে যেতে চাই তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। মোটকথা বিদেশ ফেরা সবার উপর নজর রাখতে হবে এবং তাদের কারণে যেন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
সনাক্তকরন ও বাইরে থেকে আগতদের নজরদারিতে রাখতে
মার্চ ১৯
০৩:৪৬
২০২০