কৃষি জমিতে পুকুর খনন
রাজশাহীতে কৃষি জমির প্রকৃতি পরিবর্তনে হিড়িক পড়েছে যেন। কিছুতেই এই পরিবর্তন থামানো যাচ্ছে না। এতে আবাদী জমির পরিমাণ যেমন কমছে তেমনি এর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে কৃষি ও পরিবেশের উপর। আবাদী জমির পরিবর্তন হচ্ছে পুকুরে। আর মাটি কেটে পুকুর করার ফলে এর তাৎক্ষনিক প্রভাব পড়ছে কৃষিতে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। আর খননকৃত মাটি বহনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট। অথচ এভাবে কৃষি জমির নষ্ট না করার জন্যে সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু সে নির্দেশনা মোটেও মানা হচ্ছে না স্পষ্টত: প্রভাবশালীরা এর সাথে যুক্ত থাকার কারণে প্রশাসন নিরব থাকছে। এ সংক্রান্ত খবর গতকালকের পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
দেশে মৎস্য চাষ বৃদ্ধিতে এক সময় পতিত পুকুর ও জলাশয় সংস্কার করে তা ব্যবহার উপযোগী করতে উৎসাহিত করা হতো। এতে মাছের উৎপাদন বাড়ার সাথে লাভবান হয় এর ব্যবহাকারী বা উদ্যোক্তারা। এই পরিস্থিতিতে অন্যরাও কৃষি জমি কেটে পুকুর তৈরী করতে থাকে। এভাবে এখন ব্যবসায়ী ভিত্তিতে রাজশাহীতে মৎস্য খামার গড়ে উঠছে। কিন্তু সুষ্ঠু পরিকল্পনা ছাড়া এভাবে কৃষি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে এখানকার কৃষি ও পরিবেশে।
কৃষি জমি নষ্ট করে এভাবে পুকুর খনন না করার জন্যে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু সে বাধা নিষেধ মোটেও মানা হচ্ছে না। ফলে চলছে জেলার বিভিন্ন অংশে কৃষি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন কাজ। খবরে বলা হয়েছে ২০০৭-০৮ বর্ষে জেলার আবাদী জমির পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৯১ হাজার ৭শ’ ৮০ হেক্টর। ২০১২-১৩ বর্ষে তা দাঁড়ায় ১ লাখ ৯০ হাজার ৭শ’ ৫৮ হেক্টরে। এভাবে আবাদী জমির পরিমাণ কমতে থাকায় এর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে কৃষিতে। পরিস্থিতি আর যেন অবনতি না হয় তাই দরকার জরুরী ভিত্তিতে অপরিকল্পিত পুকুর খনন বন্দ্বে কার্যকর উদ্যোগ। আমরা আশা করি এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অপরিকল্পিত পুকুর খনন বন্দ্বে চাই দ্রুত কার্যক্রর ব্যবস্থা
ফেব্রুয়ারি ০৪
০৩:৩৪
২০১৯