স্টাফ রিপোর্টার,নাটোর : নাটোরে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও যুবলীগ নেতা জামিল হোসেন মিলনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনি পরিচয়ে সাদা পোষাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছে তার পরিবার। এর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ও শহর জুড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মিলনের সমর্থক ও এলাকাবাসী। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাদা পোষাকে তুলে নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। মিলন শহরের হাফরাস্তা তালতলা এলাকার ইউপি সদস্য এমদাদুল হক নিয়াজির ছেলে। সে এবার আওয়ামী লীগ থেকে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী। তবে মিলনের নামে সদর থানাসহ বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, মাদক, সরকারি কর্মকর্তাকে মারপিট এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অন্তত ৭টি মামলা রয়েছে।
মিলনের বাবা এমদাদুুল হক নিয়াজি বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে সাদা পোশাকে এসে তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় সাদা রংয়ের একটি মাইক্রোবাসে করে মিলনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ছেলের সন্ধানে তিনি থানা ও র্যাবের অফিসে যোগাযোগ করেও তার ছেলের কোন খোঁজ পাননি। পরে তাকে সাধারণ ডায়েরী করার পরামর্শ দেয়া হলেও তিনি রাতে ও সকালে গিয়েও জিডি করতে পারেননি।
এদিকে মিলন নিখোঁজের খবরে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী সকালে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে তারা সকাল ১০টার দিকে নাটোর প্রেসক্লাবের সামনে রাস্তা অবরোধ করে রাখে। এরপর বিক্ষোভ মিছিল সহকারে শহরের বড় হরিশপুর বাইপাস মোড়ে অবস্থান নেয় বিক্ষুদ্ধরা। এসময় মিলন ভাই নিখোঁজ কেন প্রশাসন জবাব চাই, মিলন ভাইয়ের কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’ এমন শ্লোগানে প্রকম্পিত করে তুলে তারা। অবরোধের কারনে নাটোর থেকে রাজধানী সহ উত্তর এবং দক্ষিণ বঙ্গের বাসচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মহাসড়কে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। পরে পুলিশের আশ্বাসে বেলা ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নিয়ে কিছুক্ষণ পর আবার অবরোধ করে। পরে নাটোর প্রেসক্লাবে ছেলের সন্ধানের দাবীতে এক সংবাদ সম্মেলন করে মিলনের পিতা।
এ ব্যাপারে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী জালাল উদ্দিন জানান, এ ব্যাপারে মিলনের বাবা এমদাদুল হক নিয়াজি একটি জিডি করেছেন। তবে কে বা কাহারা নিয়ে গেছে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। এছাড়া মিলনের নামে সদর থানা সহ বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, মাদক, সরকারী কর্মকর্তাকে মারপিট এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অন্তত ৭টি মামলা রয়েছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে নাটোর সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত বলেন, মিলনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনির পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা শুনেছি। তবে কে বা কাহারা নিয়ে গেছে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। অবরোধকারীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে র্যাব-৫ নাটোর কোম্পানী কমান্ডার যায়েদ শাহরিয়াজ জানান, এ ধরনের কোন অভিযান তারা পরিচালনা করেননি। বিষয়টি তারা শুনেছেন। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে সব কিছু শুনে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।
নাটোরে যুবলীগ নেতাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ
ফেব্রুয়ারি ০২
০৩:১৪
২০১৯