স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সিটিস্ক্যান মেশিন ৬ দিন যাবত বন্ধ রয়েছে। মেশিনটি বুধবার থেকে বিকল হয়ে। ৬ দিন পার হলেও তা এখনো চালু হয়নি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে রোগীরা।
মাথায় বড় ধরনের আঘাত পাওয়া রোগিদের আঘাতের পরিমাণ নির্নয় করার জন্য চিকিৎসকরা সিটিস্ক্যান করাতে দেন। হাসপাতালে দুই হাজার টাকাতেই সিটিস্ক্যান করানো হয়। সেখানে বাইরে তা করাতে খরচ হয় ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে রয়েছে রোগীকে আনা নেয়ার ঝামেলা। এতে করে প্রতিদিন দুরদুরান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে আসা হাজারো গরীব রোগীরা পড়েছেন বিড়ম্বনায়।
অভিযোগ রয়েছে প্রায়ই হাসপাতালের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও মেশিন নষ্ট থাকে। আর মেশিন নষ্ট থাকায় মাঝে মাঝে রোগির স্বজনরা চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের ওপর চড়াও হন। গত ১ নভেম্বর সড়ক দুর্ঘনায় আহত রোগী ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়ার পরে মারা যায়। এ ঘটনার ৩০ মিনিট পরেও ইসিজি মেশিন নষ্ট থাকায় রিপোর্ট দিতে না পারায় কর্তব্যরত চিকিৎকের সাথে রোগির স্বজনের বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। ৩০ মিনিট মেশিনটি নাড়াচাড়া করার পরে সেখানকার কর্মচারী জানায় মেশিনটি নষ্ট। পরে ৩২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ইসিজি করে মৃত দেহ হস্তান্তর করা হয়।
এ ঘটনার কিছুদিন পরে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে মেশিন নষ্ট থাকায় স্পষ্ট ফলাফল না পাওয়ায় রোগিকে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। তার কিছুক্ষনপর রোগী মারা যাওয়ায় স্বজনেরা চিকিৎসককে হেনেস্তা করে।
এদিকে ভোগন্তিতে পড়া স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালে এমনিতেই সর্বক্ষন সকল ধরনের পরীক্ষা-নীরিক্ষার ব্যবস্থা নেই। তার উপরে সিটিস্ক্যানের মেশিনটি নষ্ট থাকায় অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বাইরে থেকে পরীক্ষা করাতে হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন রোগির স্বজনদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হচ্ছে, তেমনিভাবে রোগিকে হাসপাতালের বাইরে নিতে পড়তে হচ্ছে নানা অসুবিধায়।
সিটিস্ক্যান মেশিনের ব্যাপারে উপ-পরিচালক ডাঃ এনামুল হক বলেন, এ ধরনের মেশিন সারানের মতো টেকনিশিয়ান বা ইঞ্জিনিয়ার আমাদের এখানে নেই। আবার প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ এখানে পাওয়া যায়না। সে জন্য কিছুটা দেরি হচ্ছে।
কত দিনের মধ্যে মেশিনটি ঠিক করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি দেয়াসহ সকল কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। কবে ঠিক হবে তা সঠিক বলা সম্ভব নয়।
রামেক হাসপাতালে ৬ দিন বন্ধ সিটিস্ক্যান মেশিন, দুর্ভোগ
জানুয়ারি ২৯
০৩:৩৬
২০১৯