মেহেদি হাসান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : আমানুলালহ হক। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার ফুলকুঁড়ি ইসলামিক একাডেমীর দশম শ্রেণির ছাত্র। তার মতো নিয়মিত স্কুল যাবার এমন নজির বিরল। স্কুলের পাশে বাড়ি হওয়ার কারণে স্কুলে এক নামে চেনেন স্কুলটির দারোয়ান থেকে শুরু করে শিক্ষক-ছাত্রছাত্রী সকলেই। স্কুলের প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু করে সবারই এক কথা, বিগত ১০ বছরে স্কুলে ফাঁকি দেননি একদিনও। ৬ বছর বয়সে এই স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল এই আমানুল্লাহ। ভর্তি শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রথম হয়ে আসছেন। তারপর শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা বারোমাস কোনদিন তার স্কুল বাদ নেই। এখন দশম শ্রেণির ছাত্র। প্রথম শ্রেণি হতে প্রতিটি ক্লাসেই উপস্থিতি রয়েছে তার। এ বছর ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে স্কুলের পক্ষ থেকে সংবর্ধিত করা হয়েছে আমানুল্লাহকে।
পুরস্কার তুলে দিয়ে দিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলমগীর হোসেন। অসুস্থতা, আত্মীয়স্বজনের বিয়ে বা অন্য অনুষ্ঠান সব আমানুল্লাহ কাছে প্রাধান্য পেয়েছে দ্বিতীয় স্তরে। চেষ্টা করেছে প্রথমে অবশ্যই স্কুলে যাওয়া। একাধিক বার জ্বর-ঠান্ডার মধ্যেও স্কুলে গিয়েছে। আমানুল্লাহ জানালেন, স্কুলে না গেলে তাকে ভাল লাগেনা। তিনি চেষ্টা করেছে নিয়মিত স্কুল আসার এ জন্য তার পিতা-মাতা তাকে উৎসাহ প্রদান করেছে। তার ইচ্ছা সে নিয়মিত কলেজও যাবে এবং মানুষের মত মানুষ হয়ে প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করবে।
মা বাবার ইচ্ছা তাকে ডাক্তার করবে আর সে পড়াশুনা শেষ করে যোগদান করতে চায় প্রশাসন ক্যাডারে। পড়াশুনার পাশাপাশি তিনি স্কুলে স্কাউট দলের সহকারী লিডার।
ফুলকুড়ি ইসলামিক একাডেমীর প্রধান শিক্ষক জানান, আমি তাকে প্রথম শ্রেণিতে থেকেই নিয়মিত স্কুলে আসতে দেখি। তাকে ক্লাসে কখনো কোন শিক্ষক অনুপস্থিত দেখাতে পারেনি। তাই আমরা তাকে তার নিয়মিত স্কুল যাওয়া আসার কারণে এবার পুরস্কৃত করলাম।
১০ বছরে কোনদিন স্কুল বাদ দেননি আমানুল্লাহ
জানুয়ারি ২৯
০৩:৩৪
২০১৯