
পুঠিয়া প্রতিনিধি : জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হতে না হতেই রাজশাহীতে শুরু হয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তোড়জোড়। ইতোমধ্যেই মনোনয়ন যুদ্ধে নামের প্রস্তুতি শুরু করেছেন নেতারা। আগামী মার্চে দলীয় প্রতীকে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এমনটি ধরে নিয়েই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
দোয়া চেয়ে পোস্টার ও ফেস্টুন লাগানোসহ দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে জানান দিচ্ছেন অনেকেই। একই সঙ্গে দলীয় মনোনয়ন পেতে স্থানীয় এমপিদের কাছাকাছি ভিড়ে যাওয়াসহ দলের হাইকমান্ডে যোগাযোগও রক্ষা করছেন তারা। এতে পিছিয়ে নেয় পুঠিয়া উপজেলার দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও। এবার এ উপজেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার তালিকায় অন্তত হাফ ডজন নেতার নাম শোনা যাচ্ছে। তারা সবাই তরুণ নেতৃত্ব হিসেবেই পরিচিত।
এরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা আহসানুল হক মাসুদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাম ফারুক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ, পুঠিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার রহিম কনক, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি রাজিবুল হক রাজিব ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জিএম হিরা বাচ্চু।
এদের মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়ে বঞ্চিত হন আহসানুল হক মাসুদ। তবে এই ছয় নেতার মধ্যে চারজনের নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আহসানুল হক মাসুদ দুইবার উপজেলা পরিষদের প্রার্থী হয়েছিলেন। আর শাহরিয়ার রহিম কনক একবার। এছাড়াও আব্দুস সামাদ বানেশ^র ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। আর জিএম হিরা বাচ্চু গত পুঠিয়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে উপজেলা ও পৌরসভায় একাধিকবার মনোনয়ন চেয়ে বঞ্চিত হয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা গোলাম ফারুক। প্রথম বারের মতো এবার দলীয় মনোনয়ন চাইবেন কৃষক নেতা রাজিবুল হক রাজিব।
২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলেও দলের সমর্থন নিতে হয়েছে প্রার্থীদের। ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা আহসানুল হক মাসুদ এবং আওয়ামী লীগ নেতা শাহরিয়ার রহিম কনক। এদের মধ্যে মাসুদ দলীয় সমর্থন পেলেও তৎকালিন এমপি আব্দুল ওয়াদুদ দারা সমর্থন দেন তার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত কনককে। ফলে বিএনপির প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন তারা দুজনেই।