বাণিজ্য-পর্যটনের উন্নয়নে মরিশাসের সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চায় বাংলাদেশ

ঢাকা অফিস: দুই দেশের বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের জন্য মরিশাসের সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চায় বাংলাদেশ। মরিশাসের উপ-প্রধানমন্ত্রী লুই স্টিভেন ওবিগাদুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্র সচিব মাদুদ বিন মোমেন এই প্রস্তাব দেন।

তিনি দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে বিমান পরিষেবা চুক্তির পাশাপাশি অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির ওপরও জোর দেন। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন আজ বৃধবার মরিশাসে তার ৩ দিনের সফর শেষ করেছেন। ওবিগাদু দুই দেশের মধ্যে পর্যটন সহযোগিতার বিষয়ে এমওইউ স্বাক্ষরের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে জানান, তার সরকার চলতি বছর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মরিশাস সফরের সময় এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত। মাসুদ বিন মোমেন বলেন, পর্যটনকে এগিয়ে নিতে হলে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে। তিনি প্রস্তাব করেন যে ভিসা প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য মরিশাস বাংলাদেশে একজন অনারারি কনসাল নিয়োগ করতে পারে অথবা নয়া দিল্লিতে মরিশাস দূতাবাসের একজন কনস্যুলার অফিসার ভিসার উদ্দেশ্যে নিয়মিত বিরতিতে ঢাকা সফর করতে পারে বা অনলাইনে ভিসা সুবিধা চালু করা যেতে পারে। উপপ্রধানমন্ত্রী অনারারি কনসাল নিয়োগের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। শ্রম, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক মন্ত্রী সুদেশ সাতকাম ক্যালিচার্ন বলেছেন, বাংলাদেশি কর্মীবাহিনী তাদের আন্তরিকতা, কাজের প্রতি নিষ্ঠা এবং আইন মেনে চলার জন্য বিশাল খ্যাতি অর্জন করেছে। কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এবং অর্থনীতি গতি ফিরলে মরিশাস সক্রিয়ভাবে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের বিষয়ে বিবেচনা করছে, বলেও জানান তিনি। ক্যালিচার্ন, যিনি বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্বেও রয়েছেন। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উন্নীত করার জন্য দুই দেশের মধ্যে এফটিএ-পিটিএ’র গুরুত্বের ওপর জোর দেন তিনি। তথ্যপ্রযুক্তি, যোগাযোগ ও উদ্ভাবন মন্ত্রী দর্শনানন্দ বালগোবিনের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়, রাষ্ট্রদূত মাসুদ আইটি সেক্টরে সহযোগিতা এবং একে অপরের দক্ষতা থেকে সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে ধারণা বিনিময় করেন। রাষ্ট্রদূত মাসুদ আলোকপাত করেন যে বাংলাদেশে ৬ লাখ ফ্রি-ল্যান্স আইটি বিশেষজ্ঞ রয়েছে। মরিশাস বাংলাদেশি আইটি বিশেষজ্ঞদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারে।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২ | সময়: ১০:২৭ অপরাহ্ণ | সুমন শেখ