বোমাবাজ উপাচার্য নাকি ২৭ শিক্ষার্থীর প্রাণ বেশি দামি ? কর্তৃপক্ষের কাছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন

ঢাকা অফিস: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা প্রশ্ন রাখতে চাই, যে একজন বোমাবাজ, গুলিবাজ উপাচার্যের সিংহাসন বেশি দামী নাকি ২৭ জন শিক্ষার্থীর তাজা প্রাণ ? রোববার বেলা সাড়ে ৪টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন প্রশ্ন জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, অনশনকারীদের অনশন ৯৬ ঘণ্টা অর্থাৎ ৪ দিন পেরিয়ে ৫ ম দিনে তারা ধীরে ধীরে সুনিশ্চিত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে, তবুও প্রাণমায়া ত্যাগ করে তারা দাবি আদায়ের জন্য মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে যাচ্ছে । কাল অনশনকারী আরো চারজন শিক্ষার্থী নতুন করে যুক্ত হয়েছেন । শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, যদি ভিসি পতনের দাবি পূরণ না হয়, সেক্ষেত্রে আরও শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে সামিল হবে ।  এ সংকট নিরসনে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সাথে প্রতিনিধি দলের গতরাত ১ টায় ভিডিও কলের মাধ্যমে আলোচনা হয়। সেখানে উপাচার্যের পদত্যাগ সম্পর্কে আমাদের সুস্পষ্ট কোন কথা দেওয়া হয়নি। যেহেতু আমাদের অনশনকারী শিক্ষার্থীদের রেখে আমরা ঢাকা যেতে মানসিক ও দৈহিক ভাবে অপারগ তাই আমরা ভার্চুয়ালি যেকোনো মাধ্যমে সকল আলোচনার জন্য সব সময় প্রস্তুত আছি, সে কথা মাননীয় মন্ত্রীকে জানাই।  আরও বলা হয়, গত ১৬ জানুয়ারি ২০২২ শাবিপ্রবি উপাচার্যকে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট বডির পদত্যাগের দাবিতে ছাত্রীরা আই আই সিটি ভবনে অবরুদ্ধ করে । অবরোধের মাত্র ২ ঘন্টার মাথায় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে অহংকার ও প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে উপাচার্য নির্দেশ দিলে প্রতিবাদী শিক্ষার্থীদের উপর নারকীয়, বর্বর পুলিশি হামলা সংঘটিত হয় । যেখানে নিরীহ, নিরপরাধ, নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের দমন করতে পুলিশের এজাহার মোতাবেক ১১ রাউন্ড রাবার কার্তুজ, ২০ রাউন্ড শিসা কার্তুজ, ৩১ রাউন্ড শটগানের গুলি এবং ২১টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয় ।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২২ | সময়: ৫:৪৭ অপরাহ্ণ | সুমন শেখ