বুধবার, ১৮ই মে, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার ,বাঘা : আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস । ১৯৭১ সালে এই দিনের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ ও চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ডাক দিয়ে ছিলেন। এরপর ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। তারই ধারাবহিকতায় দেশব্যাপী কর্মসুচীর অংশ হিসাবে আজ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উৎযাপন করেছে বাঘা উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার(২৬ মার্চ) সকালে সূর্য দ্বয়ের সাথে-সাথে দিনের প্রধম প্রহরে উপজেলা বটমুল চত্বরের পাশে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বেদিতে ফুল দিয়ে বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর সকাল ৮ টায় বাঘা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও রাজশাহী জেলা আ’লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এ্যাড: লায়েব উদ্দিন লাভল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানা ও বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি)সাজ্জাদ হোসেন। পতাকা উত্তোলন শেষে আজকের দিনের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানা।
এদিকে পতাকা উত্তোলন শেষে বিজয়ের আনান্দে রঙিন বেলুন উড়িয়ে দেন অতিথি বৃন্দ। এরপর বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, স্কাউট দল,পুলিশ প্রশাসন ও আনছার বাহিনী কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে। অত:পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তি যোদ্ধাদের ফুল ও খাবার দিয়ে সংবর্ধিত করা হয় ।
এর আগে দিনের প্রথম প্রহরে ৩১ বার তফত ধ্বনি এবং বীর শহীদদের প্রতি গভির শ্রদ্ধা জানিয়ে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ গ্রহণ করেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ সকল সহযোগী সংগঠন, বাঘা প্রেস কাব এবং সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
পৃথক-পৃথক এসব কর্মসুচীতে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমি মনিরুজ্জামান, বাঘা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, অধ্যক্ষ নছিম উদ্দিন , বাঘা পৌর সভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু, বাঘা পৌর আ’লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস সরকার ও সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন, উপজেলা মহিলা আ’লীগের সভানেত্রী ফাতেমা মাসুদ লতা-সহ উপজেলা প্রশাসনের সকল অফিসার এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক মন্ডলী ও সুধীজন।