
স্টাফ রিপোর্টার : এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি) এর আয়োজনে ও দ্যা কার্টার সেন্টার এর সহযোগিতায় এবং ইউএসএআইডি’র অর্থায়ণে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশে তথ্য প্রাপ্তির অধিকারে নারীর অগ্রগতি প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে নারীদের তথ্য সমৃদ্ধ করা সক্ষমতা তৈরি করা যাতে করে নারীরা ন্যায়বিচার পায় এবং অধিকার নিশ্চিত করা হয়।
সভায় জানানো হয়- দলিত সম্প্রদায় ও প্রান্তিক নারীদের জ্ঞানবৃদ্ধি, তথ্যের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে, সরকার, স্থানীয় সংস্থা এবং কমিউনিটির নেতাদের সাথে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কর্ম এলাকায় কাজ করতে চায় এসিডি।
সংশ্লিষ্ট প্রকল্পটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমুহের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করার মাধ্যমে তাদেরকে দরিদ্র, প্রান্তিক নারী ও বঞ্চিত জনগনের প্রতি আরো স্বচ্ছ, জবাবদিহি ও প্রতিবেদনশীল হতে সহায়তা করবে।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শরিফুল হক, দ্যা কার্টার সেন্টারের প্রোগ্রাম অফিসার রওখসানা আফরোজ, এসিডি’র পরিচালক (প্রোগ্রাম) শারমিন সুবরিনা। এছাড়া প্রকল্প অবহিতকরণ সভায় দ্যা কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধি, জেলার বিভিন্ন দপ্তরের সরকারী কর্মকর্তা, ০৫ ও ০৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন- এসিডির নির্বাহী পরিচালক সালিমা সারোয়ার।
সভায়া এসিডির পরিচালক (প্রোগ্রাম) শারমিন সুবরিনা, তিনি তার বক্তব্যে বলেন, সরকার সুশাসনের অংশ হিসেবে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ তৈরি করেছে। কিন্ত তথ্য অনুসন্ধানের অবস্থা বিশ্লেষন করলে দেখা যায়, এটি একেবারেই নগন্য। বিশেষ করে দারিদ্র, প্রান্তিক নারী ও দলিত সম্প্রদায়ের লোকেরা তথ্য অনুসন্ধানের পদ্ধতি কি সে সম্পর্কে জানেনা এমনকি এই আইন সম্পর্কে কোনো ধারনা নেই।
এছাড়া সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমুহের তথ্য প্রদানের মনোভাব বা আইন প্রতিপালনের অবস্থা এখনো পুরোপুরি জনবান্ধব হয়ে ওঠেনি এবং তথ্য ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাব পরিলক্ষিত হয়। নারীরাও এই আইন মোতাবেক তথ্য সংগ্রহ করতে অণীহা প্রকাশ করে এবং নীরবতার সংস্কৃতির মধ্যে এখনো বেশিরভাগ নারী আবদ্ধ রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রচলিত সামাজিক রীতিনীতি ও পুরুষতান্ত্রিকতার প্রভাবে এখনো নারীরা জেন্ডারভিত্তিক বৈষম্য, মতামত প্রদানের স্বাধীনতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ, সম্পদের উপর অধিকার, ভোগের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রস্তাবিত কর্ম এলাকায় দরিদ্রতার হার বেশি হওয়ায় এবং সামাজিক বিধি-নিষেধ সমূহ প্রান্তিক নারীদের অধিকার নিশ্চিতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে। এই প্রতিবন্ধকতা কমিয়ে আনার জন্যই মূলত এসিডি ও দ্যা কার্টার সেন্টার কাজ করছে।
সানশাইন/২০ ফেব্রুয়ারি/রনি