
স্টাফ রিপোর্টার, বাগমারা: শনিবার দ্বিতীয় ধাপে ভবানীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আব্দুল মালেক মন্ডল নৌকা প্রতীক নিয়ে ৭৩১৯ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রতীদ্বন্দ্বী জগ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম মামুনুর রশিদ পেয়েছেন ২৬৯৯ ভোট। নির্বাচনে আব্দুল মালেক মন্ডল তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এসএম মামুনুর রশিদ মামুনের চেয়ে ৪৬২০ ভোট বেশি পেয়ে দ্বিতীয় বারের মত ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হলেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে ভবানীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে নারী পুরুষ মিলে মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ১৪৪০৫ জন। নির্বাচনে সত্তর শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। শনিবার সকাল ৮ টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহন করা হয়।
সকাল থেকেই পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের নয়টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহন শুরু হয়। নারী ও পুরুষ ভোটাররা স্বত:স্ফুর্ত ভাবে ভোট দিতে আসেন। তবে প্রচন্ড শীতের কারণে দুপুর ১২ টার পর থেকে ভোট কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠ থাকায় শতবর্ষী নারী ও পুরুষরাও আসেন ভোট দিতে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া গোটা নির্বাচনী এলাকার পরিবেশ শান্ত স্বাভাবিক ছিল।
সাধারন ভোটারদের সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার কসবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে ভোট প্রদান কক্ষে পুলিং এজেন্ট রাখা নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র কর্মী সমর্থদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় র্যাব ও বিজিবি’র ভ্রাম্যমান টিম ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। এর আগে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক তাকে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেয়া ও নির্বাচনী অফিস ভাংচুর, কর্মী সমর্থকদের মারপিটের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করার ঘোষনা দেন। পরে তিনি নির্বাচন কার্যালয়ে এসে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেশ করেন। তবে নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, বিপুল সংখ্যক ভোটার উপস্থিতি নির্বাচনের গ্রহন যোগ্যতা বৃদ্ধি করেছে।
সানশাইন/১৬ জানুয়ারি/রনি