
স্টাফ রিপোর্টার : নির্মাণের পর বছর না পেরুতেই ভেঙে পড়েছে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাকনহাট মহাবিদ্যালয়ের শহীদ মিনার। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে শহীদ মিনারটি নির্মাণ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
কলেজের সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক প্রভাষক আসাদুজ্জামান নিজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শহীদ মিনারটি দায়সারাভাবে নির্মাণ করায় কাজের কাজ কিছু হয় নি। বছর না যেতেই দেবে গেছে বেদী। নড়বড়ে হয় গেছে শহীদ মিনারের স্তম্ভ। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্থানীয় এমপি ওমর ফারুক চৌধূরীর অর্থায়নে শহীদ মিনারটি স্থাপন করা হয়। এজন্য এমপি ওমর ফারুক চৌধূরী অন্তত পৌনে তিনলাখ টাকা খরচ করেন। তবে কলেজের তৎকালীন সভাপতি আসাদুজ্জামান তার নিজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজটি করতে গিয়ে নিম্নমানের সামগ্রীর ব্যবহার ও দায়সারা কাজ করায় শহীদ মিনারটি কোনো কাজে আসেনি। কলেজ সূত্র জানায়, প্রভাব খাটিয়ে ইচ্ছেমত কাজ করায় এই দশায় পরিনত হয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ মো. সুজাউদ্দিন জানান, কলেজ ক্যাম্পাসে একটি শহীদ মিনার স্থাপনের দাবি ছিলো দীর্ঘদিনের। বিষয়টি স্থানীয় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে অবহিত করা হলে তিনি শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ২০১৫ সালে আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ দেন। সে সময় কলজের সভাপদি ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক প্রভাষক আসাদুজ্জামান। তিনি নিজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজটি করেন। ২০১৬ সালের শেষের দিকে কাজটি সম্পন্ন করা হলেও পরেই বছর অতিবাহিত না হতেই ধসে যায় শহীদ মিনারের বেদী। নড়বড়ে হয়ে গেছে মিনারের স্তম্ভ। এটি এখন আর ব্যবহারের উপযোগী নেই। তিনি বলেন, নিম্নমানের সামগ্রীর ব্যবহার ও দায়সারাভাবে কাজ করায় শহীদ মিনারটি স্থায়িত্ব হলো না।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধূরী ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন বিষয়টি তার নজরে এসেছে। ওই কলেজের সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক প্রভাষক আসাদুজ্জামান তার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে কাজটি করতে গিয়ে নয়-ছয় করেছেন।
নিজের প্রতিষ্ঠানের একটি শহীদ মিনারের কাজ করতে গিয়েও ঘাপলা ও অর্থ আত্মসাতের চেষ্টায় লিপ্ত হওয়ায় এমন পরিনতি হয়েছে শহীদ মিনারটির। তিনি বলেন, শহীদ মিনারটি সংস্কার করা হবে। তবে তার আগে ওইসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে কৈফিয়ত চাওয়া দরকার। নিজের প্রতিষ্ঠানে যারা চুরি করে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রশাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।
সানশাইন/১৫ জুলাই/ রোজি