একাংশের বিক্ষোভের পর কর্মসূচি ডাকলো ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদক

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদকের করা ‘কটুক্তি’র ঘটনায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের একাংশ। এতে সভাপতি, সম্পাদক কেউই ছিলেন না।  সোমবার দুপুর দেড় টার দিকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এ বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এসময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া তার অনুসারিদের নিয়ে টেন্টে বসে থাকলেও মিছিলে যোগ দেননি।পরবর্তীতে বিকেল চারটার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বাধীন ছাত্রলীগের আরেকাংশ।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী লিংকন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লা হিল গালিব ও উপ-ধর্ম সম্পাদক তাওহীদ দূর্জয়ের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ মার্কেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে টুকিটাকিতে দলে অস্থায়ী টেন্টে গিয়ে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ‘ছাত্রদলের চামড়া, তুলে নেব আমরা’, ‘ছাত্রলীগের একশন, ডাইরেক্ট একশন’, ‘ছাত্রদল যেখানে, ধোলাই হবে সেখানে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

বিক্ষোভ মিছিল প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভপতি কাজী লিংকন বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। গতকাল বিএনপি-জামাতের কিছু প্রেতাত্মা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমাদের শেষ আশ্রস্থল ও আওয়ামী রাজনীতির হৃদয়ের স্পন্দন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটুক্তি ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন। তার প্রতিবাদেই আমরা এই ঝটিকা মিছিল করেছি।

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কর্মসূচিতে না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের দিক-নির্দেশনা দিয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কোনো কর্মসূচি দেয়নি। তাই আমরা নিজেদের জায়গা থেকে এটা করেছি। এদিকে বিকেল চারটার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর নেতৃত্বাধীন ছাত্রলীগের আরেকাংশ। এতে প্রায় তিনশতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম কিবরিয়া বলেন, তারা যে বিক্ষোভ করেছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তির প্রতিবাদে তারা এটি করতেই পারেন। আর আমাদের কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কর্মসূচি হিসেবে বিকেল চারটায় বিক্ষোভ মিছিল করেছি।

কর্মসূচি কবে নির্ধারণ করা হয়েছে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ সভাপতি আমরা তাৎক্ষণিক কর্মসূচি ঘোষণা করে বিক্ষোভ মিছিলটি করেছি। বিক্ষোভ মিছিলের জন্য পূর্বে ঘোষণার প্রয়োজন পড়ে না বলেও জানান শাখা ছাত্রলীগের এই শীর্ষ নেতা।

বিকেল চারটার কর্মসূচি ঘোষণা নিয়ে কথা হয় একাধিক হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাথে। তারা জানান দুপুর দুইটার পরে কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে হল ছাত্রলীগের এক সভাপতি বলেন, সাধারণত কর্মসূচির একদিন আগে আমাদের জানানো হয়। তবে আজকের কর্মসূচির বিষয়টি আড়াইটার দিকে জানানো হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে সোহরাওয়ার্দী হল ছাত্রলীগের এক নেতা বলেন, শুনেছি দুপুর দুইটার দিকে ছাত্রলীগের কয়েকজন বিক্ষোভ মিছিল করেছে। পরে আড়াইটার দিকে আমাদেরকে জানানো হয়েছে বিকেল চারটায় কর্মসূচির বিষয়টি। সকাল থেকে কিছুই জানানো হয়নি।

 

সানশাইন/তৈয়ব


প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২২ | সময়: ৭:৩৬ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine