মঙ্গলবার, ১৮ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) রাজপাড়া থানা পুলিশের অভিযানে রাজশাহী মহানগরীর নতুন বিল সিমলা এলাকার ভাড়াটিয়া মাসুদ রানা (৪২) হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন রানা (৩২) ও বেলি বেগম (৩০)। রানা রাজশাহী জেলার দূর্গাপুর থানার আলীপুর গ্রামের খোকন আলীর ছেলে ও তার স্ত্রী বেলী বেগম রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার শিরোইল কলোনী পশ্চিমপাড়ার মেরাজ উদ্দিনের মেয়ে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী মহানগরীর কর্ণহার থানার রাধানগর বেজুড়া গ্রামের আবু বাক্কারের ছেলে মাসুদ রানা। সে প্রায় এক বছর ধরে নগরীর রাজপাড়া থানার নতুন বিল সিমলা এলাকার নজরুল ইসলামের বাড়িতে একাই ভাড়া থাকতেন। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ফুটপাতে চায়ের দোকান চালাতেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক ১০টায় তার ভাড়া বাসায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাকে নির্মমভাবে খুন করে। তার পিতার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজপাড়া থানায় একটি হত্যার মামলা দায়ের করা হয়।
আরএমপি’র বোয়ালিয়া বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো: হাফিজুর রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সহকারী পুলিশ কমিশনার রুবেল হোসেনের দিকনির্দেশনায় রাজপাড়া থানা পুলিশের একটি টিম আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেন।
রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে এসআই মো: তরিকুল ইসলামের টিম গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮ টায় রাজশাহী জেলার দূর্গাপুর থানার আলীপুর গ্রামে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের গ্রেপ্তার করেন। এসময় আসামিদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি কাঠের পিড়া উদ্ধার হয়। পরের দিন রাজপাড়া থানা পুলিশ আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করেন। বিজ্ঞ আদালত দুই দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা জানায়, মৃত মাসুদ রানার স্ত্রী ক্যানসারে মারা যাওয়ার পর তিনি একাই বাসায় থাকতেন। একাই থাকার কারণে মাসদু রানার দোকানের কর্মচারী আসামী রানা তার স্ত্রী বেলী বেগমকে সাথে নিয়ে মাসুদ রানার সঙ্গে একই বাসায় থাকতে শুরু করে। পরে মাসুদ রানা আসামি বেলী বেগমের সম্পর্ক গড়ে উঠে যা জানতে পেরে রানা ক্ষুব্ধ হয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির একপর্যায়ে রানা বেসিনের কাছে ফেলে কাঠের পিড়া দ্বারা আঘাত করে মাসুদ রানাকে এবং বেলী বেগমের সহায়তায় তাকে হত্যা করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামিকে আদালতে সোপর্দ করলে তারা বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।