শুক্রবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
সানশাইন ডেস্ক: বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান এই চার দেশ মিলে একটি যৌথ অর্থনীতি গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি মনে করেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে যৌথ অর্থনীতি গড়ে তুলতে পারলে এই চার দেশ লাভবান হবে। ইতোমধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে তিনি জানান। রবিবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সার্ভিস এসোসিয়েশনের সম্মেলন ২০২৫-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, প্রাকৃতিক দিক থেকে আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। এর পাশাপাশি আমাদের রয়েছে বিপুল জনগোষ্ঠী, যা দেশের জন্য বড় সম্পদ।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণরা বিশ্ব জয় করতে পারে। তাই এই প্রজন্মের জন্য দরজা খুলে দিতে হবে।’ প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, জুলাই-আগস্ট মাসে আমাদের তরুণরা যা দেখিয়েছে, তা পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখাতে পারিনি।
দুর্নীতি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাধা বলে তিনি উল্লেখ করেন। ড. ইউনূস সরকারি সেবাসমূহকে অনলাইনে নিয়ে আসার জন্য জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম।
পাশেই ময়লার ভাগাড় আর দুর্গন্ধ। কেনা বেচা তো দূরের কথা এখানে টিকে থাকা দায় হয়ে গেছে আমাদের। মাছ ও মাংস হাটার পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় মাছের পানি, জবাই করা গবাদি পশুর রক্ত জমে পচা-দুর্গন্ধময় পরিবেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বাধ্য হয়ে কেনা বেচা করছি।
মাছ ব্যবসায়ী রেজাউল করিম বলেন, মাছ বাজারের পাশের পুকুরটি পরিনত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। শুকনো মৌসুমে কষ্ট করে কেনা বেচা করা গেলেও বর্ষার সময় দুরগন্ধযুক্ত পানি ছড়িয়ে পড়ে পুরো হাটজুড়ে। বার বার বলা হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়না হাট কতৃপক্ষ।
রহিদুল নামে এক ক্রেতা বলেন, বানেশ্বর হাট বর্তমানে খুবই নোংরা পরিবেশ। দুর্গন্ধের কারণে এ হাটে বাজার করতে আসা যায়না। চারিদিকে শুধু ময়লার স্তুপ।
সবুজ আলী নামে আরেক ক্রেতা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হাটের এই নোংরা অবস্থা। শুকনো মৌসুমে কষ্ট করে বাজার করা গেলেও। বর্ষার সময় পুরো হাট পানির নিচে তলা থাকে আর সাথে নোংরা বর্জ, ছোট ছোট পোকা মানুষের শরীরে উঠে। হাটে কেউ আসতে চাই না।
বানেশ্বর বনিক সমিতির সভাপতি মতিউর রহমান মতি বলেন, আম, খেজুরের গুড়, সবজি গরু-ছাগল ও গৃহস্থালি পণ্যের জন্য বেশ পরিচিত এ হাট। প্রতিবছর কোটি টাকার বেশি দিয়ে হাটটি ইজারা নেওয়া হলেও হাটটির সার্বিক উন্নয়নে কোন নজর দারি নেই কতৃপক্ষের। বার বার পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাটের উন্নয়নের জন্য আশ্বাস দিলেও এখনো কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেননি।
এ বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম নুর হোসেন নির্ঝর জানান, হাটের নোংরা পরিবেশের অন্যতম কারণ ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা। মাছ ও মাংশ হাটার বন্ধ ড্রেনটি সংস্কার করার পাশাপাশি হাটের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।