মঙ্গলবার, ১৮ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
পুঠিয়া প্রতিনিধি: ভোট মানেই বাংলাদেশে যেন উৎসব। আর নতুন ভোটার হতে পারা যেন আরো আনন্দের কাজ। ঘন্টার পর ঘন্টায় লাইনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতেও যেন আনন্দের শেষ নেই। আবার অনেকে ক্লান্ত হয়ে ফিরে যায় বাসায়। কেউ কেউ দাঁড়িয়ে আছেন দুপুরে না খেয়েই। ছবি তোলা শেষ হবে কখন জানা নেই লাইনে দাঁড়ানো মানুষের।
শনিবার রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের ঝলমলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নতুন ও বাদ পড়া ভোটাররা আসেন আঙ্গুলের ছাপ, আইরিশ ও ছবি তুলতে। নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্টের কাজে ধীরগতি আর ছবি তুলতে আসা মানুষের সংখ্যার তুলনায় সরঞ্জাম খুবই অপ্রতুল কম হওয়ায় যে আনন্দ নিয়ে ছবি তুলতে এসেছিলেন, সে আনন্দ বিসাদে পরিণত হয়।
অনেকে সকাল ৭ টায় এসে সিরিয়াল দিয়েও ৫-৭ ঘন্টা অপেক্ষা করেও ছবি তুলতে পারেনি বহু মানুষ। তাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।
অপরদিকে, অসুস্থ, প্রতিবন্ধী ও পেটে বাচ্চা নিয়ে ছবি তুলতে আসা নারীদের ক্ষেত্রেও ছিলো না কোনো আলাদা ভাবে ছবি তোলার ব্যবস্থা। এতে করে সাংবাদিকদের দেখে অনেকেই ক্ষোভ ঝাড়েন। সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টা ছিল না শৃংখল পরিবেশ।
সারাদিনে ছবি তোলার কাজ শেষ করতে পারবেন কিনা তা জানা নেই নতুন ভোটার হতে আসা বা নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্টদের কারোরই। ঝলমলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এ মোট পাঁচটি ল্যাপটপ দিয়ে কাজ শুরু করা হলেও মাঝখানে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকে দুটি। এতে করে ভোগান্তি আরও চরমে পৌঁছায়।
ভোগান্তি ও নতুন ভোটাদের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাচন অফিসার সুস্মিতা রায় জানান, আমাদের যা ছিল সবটুকু দিয়ে কাজ করছি। ভোগান্তি একটু হচ্ছে। নতুন ভোটার হতে আসা মানুষের উৎসাহ দেখে আমার খুব ভালো লাগছে। চেষ্টায় আছি মানুষের ভোগান্তি লাঘব করার জন্য। প্রায় ৮ হাজার ৮৮ জন (সম্ভাব্য) নতুন ও বাদ পড়ারা নিবন্ধন করেছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত দেখভালের কাজ চলছে।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে সিনিয়র রাজশাহী জেলা নির্বাচন অফিসার মোতাওয়াক্কিল রহমান বলেন, বিষয়টি আমি জানি। এখানে আমার প্রতিনিধি দল পাঠাবো। চেষ্টা করব ভোগান্তি কমানোর জন্য। আমাদের সরঞ্জাম যা আছে তাই দিয়ে চেষ্টা করছি। তবে আরও সরঞ্জাম হলে ভালো হতো।