ই-পেপার

মেডিকেলে চাঞ্চ পাওয়ায় মেধাবী বৈশাখির পাশে দাড়িয়েছেন বিএনপি নেতা চাঁদ

স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা: পৃথিবীতে কেউ সাফল্যের চামচ নিয়ে জন্মলাভ করে না। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সবকিছু অর্জন করতে হয়। প্রবাদ আছে, পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি। পরিশ্রমের দ্বারা ভাগ্যের চাবিকাঠি এমনভাবে পরিবর্তন করা সম্ভব, যা অলস মানুষের কাছে অলৌকিক বলে মনে হয়। যে কোনো ক্ষেত্রে সফলতার প্রথম শর্ত হলো প্রবল ইচ্ছেশক্তি, আত্মবিশ্বাস ও কঠোর পরিশ্রম। যার অন্যতম উদাহরণ বাঘার গরিব ঘরের মেধাবী শিক্ষার্থী বৈশাখি আক্তার। তার এই সাফলের খবর শুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পর এবার পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা আবু সাইদ চাঁদ।
রাজশাহীর বাঘা পৌর সভার চকনারায়নপুর গ্রামের দিনমুজুর আজবাহার আলীর মেয়ে বৈশাখী আক্তার। সে এ বছর সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় প্রথম তার পাশে দাড়ান বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মি আক্তার। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেইজে বৈশাখি আক্তাকে নিয়ে সুন্দর কিছু কথা লিখেন।
সেখানে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয়, কন্যারা এভাবেই এগিয়ে যাক। বৈশাখির জন্য শুভ কামনা। আর এ লেখাটি চোখে পড়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের।
তিনি ওই গরিব শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশ দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ও রাজশাহী জেলার আহবায়ক আবু সাইদ চাঁদকে। সে মোতাবেক শনিবার বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম ও নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু সাঈদ চাঁদ স্থানীয় নেতাদের সাথে নিয়ে বৈশাখীর বাড়িতে উপস্থিত হন এবং তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো সহ মেডিকেলে পড়ার বই সামগ্রী ক্রয় ও ভর্তির জন্য নগদ অর্থসহায়তা প্রদান করেন।
এ বিষয়ে বৈশাখি বলেন, আমি চলতি শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছি। তবে আমার পিতা একজন দিন মজুর হওয়ায় কিভাবে লেখা পড়া করবো এ নিয়ে ভিষণ দুঃচিন্তায় ছিলাম। অবশেষে গত ৩০ জানুয়ারি বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খবরটা শুনে তার অফিস কক্ষে ডেকে আমাকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
সবশেষ বিএনপি নেতারা এসে আমাকে পুনরায় আথিক সহায়তা করায় আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ এবং সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী, আমি যেন চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে পারি।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫ | সময়: ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ