ই-পেপার

রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ: অন্য দেশের তুলনায় এ দেশে শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ অনেক কম

স্টাফ রিপোর্টার: বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন, রাজশাহী কলেজ ইউনিটের উদ্যোগে “বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস সংস্কার: আমাদের প্রত্যাশা” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় রাজশাহী কলেজ অডিটোরিয়ামে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. যহুর আলী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইব্রাহিম আলী, রাজশাহী কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক, বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ, বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। কর্মশালায় প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মো. যহুর আলী বলেন, “শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ আশেপাশের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। শিক্ষা ক্যাডারের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হলে শিক্ষার মানোন্নয়ন সময়ের ব্যাপার মাত্র।” তিনি আরও বলেন, “জবাবদিহিমূলক ও জনবান্ধব সিভিল প্রশাসন গঠনের জন্য শিক্ষা খাতে যথাযথ বাজেট বরাদ্দ জরুরি।”
উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইব্রাহিম আলী শিক্ষাকে জাতির মেরুদণ্ড হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান, বেতন, প্রশিক্ষণ সুবিধা ও পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ না থাকলে শিক্ষা খাতে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়।”
কর্মশালায় বক্তারা শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ন্যায্যতা ও জবাবদিহিতার ওপর জোর দেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, সরকার শিক্ষাখাতে বাজেট বাড়িয়ে সুশাসন নিশ্চিত করবে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনবে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের রাজশাহী অঞ্চলের সমন্বয়ক আব্দুর রহিম বলেন, “দেশকে বৈষম্যমুক্ত করতে হলে প্রয়োজনে শিক্ষার্থীরা আবারও রাস্তায় নামবে।”
কর্মশালার শেষে শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস সংস্কার ও জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি সুপারিশ উপস্থাপন করেন।
নীতিনির্ধারণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের প্রদান করতে হবে।”জুলাই বিপ্লব ২০২৪”-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক সকল কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে মেধাভিত্তিক সিভিল প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পেশাগত বৈষম্য দূর করে জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র কাঠামোর মাধ্যমে সেবার মান নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেক সেক্টরে পদোন্নতি ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান অথবা স্বাধীন সংস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হতে হবে। সকল পেশায় পর্যাপ্ত সংখ্যক পদ ও গ্রেড সৃষ্টির মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত করতে হবে। আইন বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সেক্টরের জনবল দ্বারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে। মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের সভা, নীতিনির্ধারণ ও পরিচালনার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানকে প্রদান করতে হবে। যেকোনো অফিস আদেশ সর্বজনীন হতে হবে, যাতে একই গ্রেডের সকল কর্মকর্তার জন্য তা সমানভাবে প্রযোজ্য হয়। সংশ্লিষ্ট সেক্টরের তফসিলভুক্ত পদ থেকে অদক্ষ ও অপেশাদার কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করতে হবে।অনুষ্ঠানে আগত অন্যান্য কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকরা ও বক্তব্য প্রদান করেন।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৫ | সময়: ৭:২৫ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ