মঙ্গলবার, ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
মেহেদী হাসান, পুঠিয়া: রাজশাহীর অন্যতম বানিজ্যিক এলাকা পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর হাট। জরাজীর্ণ ও বিদ্যুৎ না থাকা অন্ধকার ঘরে চলছে ডিজিটাল ডাক সেবা। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ডিজিটাল সেবা নামকরণ করা হলেও বাস্তবে তা উল্টো এমনি অভিযোগ সেবা গ্রহিতাদের। আর এ কারণে সেবা পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সেবা প্রার্থীদের।
ডিজিটাল ডাক সেবা নিতে আসা রানা হোসেন নামে এক গ্রাহক বলেন, অন্ধকার রুমে মোবাইলের টর্চ লাইট জালিয়ে চলে গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল ডাক সেবা কার্যক্রম। ডিজিটাল ডাক সেবা লিখা থাকলেও ১০ বছর ধরে অন্ধকার রুমে বাধ্য হয়ে সেবা নিতে হচ্ছে আমাদের।
বাবু নামে আরেক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ডিজিটাল ডাক সেবার সপ্ন দেখালেও বাস্তবে তা শুধু শুভঙ্করের ফাঁকি। ডিজিটাল সেবার বিন্দুমাত্র এখানে পাওয়া যায় না, এর চাইতে বাহিরে অনেক ভালো সেবা পাওয়া যায়।
রাশেদ হোসেন নামে এক সেবাগ্রহিতা বলেন, পুঠিয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বানিজ্যিক এলাকা এই বানেশ্বর হাট। যেখানে উন্নত ডাক সেবা পাওয়ার কথা থাকলেও এমন অন্ধকার রুমে সেবা নিতে এসে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আমাদের। কতৃপক্ষের উচিত বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা।
সেখানে কর্মরত নারী কর্মকর্তা বলেন, পোস্ট অফিসের নিজস্ব কোন ঘর না থাকায় বাধ্য হয়ে হাট কর্তৃপক্ষের একটি জরাজীর্ণ অন্ধকার রুমে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন অফিসের লোকজন। উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানালেও নেওয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা।
এ বিষয়ে রাজশাহী ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল রাকিব বিশ্বাস বলেন, আমি নতুন এসেছি। এই জরাজীর্ণ ডাক ঘরের কথা আপনার কাছ থেকে শুনলাম। ডাক অফিসটি পরিদর্শন করে দ্রুত সংষ্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।