মঙ্গলবার, ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফকরুল হাসান বাবলুর বাড়িতে কক*টেল বি*স্ফো*রণের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাত পৌনে ৯টার দিকে এ ঘটনা সংঘটিত হয়। বাবলুর বাড়ি উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে। এ বিষয়ে পরদিন শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ জমা হয়নি। তবে অভিযোগ প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন ওসি আ.ফ.ম আসাদুজ্জামান।
বাঘা উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, ক*ক*টেল বিস্ফোরণের পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বাড়ির আশপাশে তল্লাশি চালিয়ে তিনটি বি*স্ফো*রিত এবং তিনটি অবিস্ফোরিত কক*টেল উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় তারা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিএনপিকে নিয়ে পোস্ট করা একজন যুবলীগ নেতা ও বর্তমান পাকুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজকে মৌখিকভাবে দোষারোপ করেন।
এ বিষয়ে বিএনপির আহ্বায়ক ফকরুল হাসান বাবলুর ভাই নাসিমুজ্জামান নান্নু বলেন, কেশবপুর গ্রামে পুরাতন বাড়ির পাশে আমি আলাদা বাড়িতে বসবাস করি। পুরাতন বাড়িতে তিন ভাই থাকেন। ঘটনার সময় আমি নিজের বাড়িতে ছিলাম। বিকট শব্দ শুনে বাড়ির বাইরে এসে দেখি আলো-আঁধারের মধ্যে ৪-৫ জন লোক বাড়ির দক্ষিণ দিক দিয়ে চলে যাচ্ছে। এ সময় আমরা কিছু লোকজন তাদের ধাওয়া করেছিলাম, কিন্তু ধরতে পারিনি। তিনি জানান, বাড়ির মধ্যে দুটি ও বাড়ির সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফকরুল হাসান বাবলু বলেন, ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। গড়গড়ি ইউনিয়নে দলীয় সভা শেষে বাড়ির পাশে ময়েনের মোড়ে লোকজন নিয়ে বসে ছিলাম। এমন সময় বিকট শব্দ শুনতে পাই। পরে বাড়িতে গিয়ে দেখি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন আগে একটি ফেসবুক আইডি থেকে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছিল— “বাঘা বিএনপি সাবধান।” আমার বিশ্বাস, তারা আওয়ামী লীগের লোক। পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
এদিকে, উক্ত ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে তাৎক্ষণিক উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরা সেখানে যান এবং ককটেল বি*স্ফোর*ণের প্রতিবাদে একটি বি*ক্ষোভ-মি*ছিল বের করেন।
সার্বিক বিষয়ে ঘটনার পরদিন শনিবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখার পূর্বে বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ.ফ.ম আসাদুজ্জামান বলেন, অভিযোগ প্রক্রিয়াধীন। আমরা ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি জীবিত ককটেল দৃশ্যমান বস্তু উদ্ধার করেছি। তবে কারা এর সঙ্গে জড়িত, এখনই স্পষ্টভাবে বলা সম্ভব হচ্ছে না। অভিযোগ হাতে পাওয়ার পর তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সানশাইন/রাজ