বড়াইগ্রামে সাবেক মেয়রের মেয়ের বিয়ের প্যান্ডেল ভেঙ্গে দিয়েছে যুবদল কর্মীরা

বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কেএম জাকির হোসেনের মেয়ে ও মেয়ে জামাতার বাড়ির বিয়ের গেট, লাইটিং ও প্যান্ডেলের অংশবিশেষ ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জন্য যুবদল কর্মীদের দায়ী করেছেন কােন স্বজনরা।
জানা যায়, রোববার বনপাড়া মহল্লার ঠিকাদার সাইফুল ইসলাম বাবুলের ছেলে প্রকৌশলী হাদিউজ্জামান মহানের সঙ্গে সাবেক মেয়র কেএম জাকির হোসেনের মেয়ে ও সন্ত্রাসী হামলায় নিহত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আইনুল হকের নাতনী ফাতেমা হক জয়ার বিয়ের দিন ধার্য ছিল। রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ও মেয়ের বাবার অনুপস্থিতির কারণে একেবারেই ঘরোয়া পরিবেশে বনপাড়া বাজারের মেয়রের বাড়ির ভেতরে বিয়ের আয়োজন করা হয়।
কিন্তু শনিবার রাতে বনপাড়া পৌর এলাকার ১৫-২০ জন বিএনপি-যুবদল কর্মী মেয়রের বাড়িতে এসে বিয়ের গেট ও অতিথিদের বসার জায়গা ভেঙ্গে ফেলে। তবে বাড়ির ভেতরে ঢোকার কলাপসেবল গেট তালাবদ্ধ থাকায় তারা ভেতরে ঢুকতে না পেরে অশ্লীল গালাগালি করে ফিরে যায়।
পরে তারা একই মহল্লায় মেয়রের মেয়ে জামাতার বাড়িতে গিয়েও লাইটিং ভাংচুরসহ হৈ-হট্টগোল ও গালমন্দ করে। তবে দুপুরে সে প্যান্ডেলেই সংক্ষিপ্ত পরিসরে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়।
বিয়ে আয়োজনের দায়িত্বে থাকা সাবেক মেয়রের মামা ওয়াজেদ আলী সোনার বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সাবেক মেয়র সহ আমার তিন ভাগিনাই বাড়ির বাইরে রয়েছে। এ সময় খুব ছোট পরিসরে আমরা বিয়ের আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু বিএনপি কর্মীরা যেভাবে বিয়ে বাড়িতে এসে ভাংচুর করেছে তা খুবই দুঃখজনক।
এ ব্যাপারে বনপাড়া পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান বলেন, রাতের আঁধারে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমি জানি না। তবে যুবদলের কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে রাতেই আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। পরবর্তীতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলেই জেনেছি। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৫ | সময়: ৭:২১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ