রবিবার, ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামে চাঁদাবাজির মামলায় পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ দুই জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাতে তারা দু’জনসহ মোট ৬ নেতা-কর্মীর নামে দায়ের করা হয়েছে। বড়াইগ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে শাহ আলম নামে এক ভুক্তভোগী মঙ্গলবার রাতে ওই মামলা দায়ের করেন।
কারাগারে যাওয়া আব্দুস সাত্তার (৫৫) বড়াইগ্রাম মহল্লার হালিম খানের ছেলে এবং বিএনপি কর্মী কামাল হোসেন (৪০) একই এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে। মামলার অন্য আসামীরা হলেন, বিএনপি কর্মী বড়াইগ্রাম এলাকার সিরাজ উদ্দিনের ছেলে আজিজুল ইসলাম (৩৮), মোজাহার আলীর ছেলে বাবলু মিয়া (৩৬), আব্দুস সাত্তার খানের ছেলে সবুজ হোসেন (৩০) ও সরওয়ার হোসেন (৩৫)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটার দিকে অভিযুক্তরা শাহ আলমকে মারপিট করে ৮ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে ধরে এনে আব্দুস সাত্তার খানের বাড়ির সামনের মেহগনি বাগানে গাছের সাথে বেঁধে পুনরায় নির্যাতন করে তারা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তবে সাবেক কাউন্সিলর আব্দুস সাত্তারের ছোট ভাই মহররম আলী বলেন, পরিকল্পিত ভাবে তার ভাইকে ফাঁসানো হয়েছে। বাদীর কাছে আমার ভাতিজা কামাল ৮৬ হাজার টাকা পাবে। এটা নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে।
সম্প্রতি পাওনা টাকার মিটিং এ আমার ভাই ছিলো বলে তাকে ফাঁসাতে এ অভিযোগ করা হয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে।