সর্বশেষ সংবাদ :

এলসেভিয়ার র‌্যাঙ্কিংয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দেশসেরা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

যবিপ্রবি প্রতিনিধি:

বিশ্বের প্রথম সারির চিকিৎসা ও বিজ্ঞানবিষয়ক প্রকাশনা নিবন্ধ প্রকাশনা সংস্থা এলসেভিয়ার কর্তৃক স্কোপাস ডাটা সর্বশেষ র্যাঙ্কিংয়ে দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)।

রবিবার (৫ ডিসেম্বর) নেদারল্যান্ড ভিত্তিক চিকিৎসা ও বিজ্ঞান বিষয়ক নিবন্ধ প্রকাশনা সংস্থা এলসেভিয়ার এই তালিকা প্রকাশ করে।

এলসেভিয়ার’র অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত গবেষেণাপত্রের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা প্রকাশ করা হয়।

তালিকায় দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে নবম স্থানে রয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)। যবিপ্রবির প্রকাশিত মোট গবেষণা পত্রের সংখ্যা প্রায় ৪৫০ টি।

এ বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ বলেন, বিভিন্ন র্যাঙ্কিংয়ে যবিপ্রবির এই সাফল্য ধরে রাখতে আমার মূল লক্ষ্য হলো গুনগত শিক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি গবেষণামূলক শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তাই এই বছর যবিপ্রবির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গবেষণা প্রজেক্ট আমরা ফান্ডিং করেছি। এছাড়াও আরও কিছু ফান্ড আসবে সামনের দিনগুলোতে। যার মাধ্যমে আমাদের গবেষণার মান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং আরও বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি গবেষণাকে আরও গতিশীল করার জন্য প্রতি বছর স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত ২০০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কোপাস ইনডেক্স জার্নালে কমপক্ষে একটি পেপার পাবলিশ করতে হবে এমন শর্তে তাদের মেধা এবং আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে স্কলারশিপ দেওয়া হবে। এছাড়াও চলতি বছর থেকে গবেষণার উপর ভিত্তি করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরষ্কৃত করা হবে।

এদিকে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত গবেষণাপত্রের সংখ্যা এক হাজার ৫০০ এরও অধিক। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রকাশিত গবেষণাপত্রে ৮০০ এরও অধিক। প্রায় ৭০০ প্রকাশিত গবেষণাপত্র নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাদান (টিচিং), গবেষণা (রিসার্চ), গবেষণা-উদ্ধৃতি (সাইটেশন), আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি (ইন্টারন্যাশনাল আউটলুক) এবং ইন্ডাস্ট্রি ইনকামের (শিল্পের সঙ্গে জ্ঞানের বিনিময়) ওপর ভিত্তি করে এ তালিকা করা হয়। এলসেভিয়ার প্রতিবছর প্রায় দুই হাজারের ওপরে জার্নাল প্রকাশ করে। প্রকাশিত জার্নালে নিবন্ধের সংখ্যা আড়াই লাখের বেশি। এর আর্কাইভে ৭০ লাখের বেশি প্রকাশনা রয়েছে।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৫ | সময়: ৯:১৩ পূর্বাহ্ণ | Daily Sunshine

আরও খবর