রবিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।
মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগমারা: বাজারে চাল আটার চেয়ে সবজির দাম বেশি। যেমন তেমন সবজি এখন একশ টাকা কেজি। তার উপর বিষ মুক্ত সবজি হলে তো কথাই নেই। বিষ মুক্ত সবজির ব্যাপক চাহিদা থাকায় বর্তমানে কৃষক এই সবজি চাষে ব্যাপক ভাবে ঝুকে পড়েছেন। এতে খরচ কিছুটা কম তবে পরিশ্রম একটু বেশি। তবে এই সবজি মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য উপকারি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার মড়িয়া ইউনিয়নের দাশপাড়া, যাত্রাগাছি, বালিয়া, কালাপাড়া, কাঁঠালবাড়ি সহ আশেপাশের ৭-৮টি গ্রামের অন্তত পাঁচশতাধিক কৃষক বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করে আসছেন। তারা বারমাসই সবজি উৎপদের করে থাকেন।
গ্রীস্মকালীন টমাটো মুলা ফুলকপি ছাড়াও তারা মৌসুমে আলু বেগুন মুলা করলা ঢেঢ়স লাউ সহ বিভিন্ন সবজি উৎপাদন করে থাকেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ার কারণে দূরদূরান্তের বেপারীরা এসব সবজি গ্রামে এসেই সবজি নিয়ে যায়। বিষমুক্ত হওয়ার কারণে এই সবজি ঢাকা সহ অন্যান্য বড় বড় শহরে বেশ চাহিদা রয়েছে। সবজির গ্রাম হিসাবে পরিচিত গ্রাম গুলোর কৃষক বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করে এখন স্বচ্ছল জীবন যাপন করেছন। অধিকাংশই দোতালা তিনতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন এই সবজি উৎপাদন করে। মাড়িয়ার এমন কৃষক আসাদুজ্জামান। তিনি কেবল সবজি চাষ করেই এখন পাকাবাড়ির মালিক।
তিনি জানান, এক সময় আমরা কেবল ধান আর আলু উৎপাদন করতাম। এতে তেমন লাভ হত না। পরে বিভিন্ন রকম সবজি উৎপাদন শুরু করি। এক সাথে অনেক কৃষক সবজি চাষ করায় বেপারীরা ট্রাক নিয়ে এসে আমাদের সবজি নিয়ে যায়। এতে আমাদের পরিবহন ও অন্যান্য খরচ বেচে যায়। সাঁকোয়া গ্রামের কৃষকর আমজাদ হোসেন জানান, তিনি আগে পুকুরে মাছ চাষ করে সংসার চালাতেন। এখন সবজির দিকে ঝুকে পড়েছেন। তার মতে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে কৃষকদের আরো প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা বাড়ানো দরকার। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাক জানান, মাড়িয়া ইউনিয়ন আগে থেকেই সবজি চাষের জন্য পরিচিত। তবে সম্প্রতি কিছু কৃষক বিষমুক্ত সবজি চাষে ঝুকে পড়েছে। আমরা তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে আসছি।