রবিবার, ১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
নুরুজ্জামান, বাঘা:
আজ ১৪ ডিসেম্বর, শ*হী*দ বুদ্ধিজীবী দিবস। মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি হা*না*দার বাহিনী বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার ঘৃ*ণ্য চক্রান্ত করেছিল। তারা তাদের এদেশীয় দোসরদের নিয়ে নির্মম ভাবে হ*ত্যা করেছিল বাংলার সূর্য সন্তান বুদ্ধিজীবীদের।
তাঁদের স্মরণে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহীর বাঘায় যথাযথ মর্যদায় শ*হী*দ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বাঘা উপজেলা প্রশাসন। এর আগে বাঘা উপজেলা প্রশাসন-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে উপজেলা কেন্দ্রীয় শ*হী*দ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলী জানানো হয়।
বাঘা উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১১ টায় উপজেলার নবাগত নির্বাহী অফিসার শাম্মি আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন ও দোয়া পরবর্তী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবিহা সুলতানা ডলি, বাঘা উপজেলা বিএনপি আহবায়ক ও সাবেক পাকুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ফখরু হাসান বাবলু, সাবেক উপজেলা বিএনপি সভাপতি অধ্যাপক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আ,ফ,ম আসাদুজ্জামান, বীর মুক্তিযুদ্ধা মোঃ মোসলেম উদ্দিন, মোঃ জনাব আলী, উপজেলা জামায়াতের আমীর আব্দুল আল মামুন, বিএনপি নেতা ও বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুল রহমান এছা, বাঘা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক আঃ লতিফ মিয়া, বাঘা রিপোটার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম ইসলাম দিলদার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান জনি, বাঘা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান কর্মকর্তা ডা: আসাদুজ্জামান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ.ফ.ম মাহমুদুল হাসান ও বাঘা উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের সকল কর্মকর্তা-সহ শিক্ষক সমাজম, সুধীজন এবং সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
উক্ত সভায় নবাগত নির্বাহী অফিসার বলেন, আজ ১৪ ডিসেম্বর শ*হী*দ বুদ্ধিজীবী দিবস। পৃথিবীর ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। ১৯৭১ সালের এই দিনে পরাজয় নিশ্চিত ভেবে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার আলবদর, আলশামস বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হ*ত্যা করে। ইতিহাসের জ*ঘ*ন্য-তম হ*ত্যাকা*ন্ড চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। ঐ দিন শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, দার্শনিক,কবি ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদেরা এই সুপরিকল্পিত হ*ত্যাযজ্ঞের শিকার হন।
এদিকে আয়োজিত সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, একটি দেশকে ধ্বং*স করতে হলে যে তাদের ভাষা এবং সাংস্কৃতির উপরে আঘাত হানতে হয়, শিক্ষিত সমাজকে ধবংস করে মেধা শুন্য করতে হয়, এটি আমরা পাকিস্তানীদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েছি। তবে জীব হ*ত্যাকারীদের আল্লাহপাক কখনোই পছন্দ করেন না। যারা আমাদের দেশকে মেধা শুন্য এবং অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু করতে চেয়েছিলো, আজ তারা মোটেও ভালো নেই। বরং আমাদের দেশ এখন তাদের থেকে অনেক সমৃদ্ধ।