রবিবার, ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার তেথুঁলিয়া-পীরগাছা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ ও ভোকেশনাল ইন্সটিটিউটের মাঠ ভাড়া নিয়ে আখ ক্রয় করছেন রাজশাহী সুগার মিল। কলেজ অধ্যক্ষকে ম্যানেজ করে অর্থের বিনিময়ে এই আখ রাখা হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থী বৃন্দ। এতে করে রাস্তায় দুর্ঘটনা-সহ খেলা-ধুলা ও শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে । বিষয়টি লোকমুখে অবগত হয়েছেন প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা: শাম্মী আক্তার।
স্থানীয় লোকজন জানান, রাজশাহীর হরিয়ান সুগার মিল কর্তৃপক্ষ বাঘার তেথুঁলিয়া-পীরগাছা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ ও ভোকেশনাল ইন্সটিটিউটের মাঠ গত ২৮ নভেম্বর থেকে ৪০ দিনের জন্য ভাড়া নিয়েছেন। তারা পুরো মাঠে অত্র এলাকা থেকে ক্রয় করা আখ রেখেছেন। সেখান থেকে ট্রাকে করে নিয়েও যাচ্ছেন। এর ফলে একদিকে যেমন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা থেকে বজ্ঞিত হচ্ছে। অপর দিকে অবমাননা করা হচ্ছে শহীদ মিনারকে। ঐ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী তানভীর আল ইসলাম ও মতিউর রহমান বলেন, খেলার মাঠে আখ ক্রয় কেন্দ্র হওয়ায় আমরা ভেলাধুলা করতে পাচ্ছিনা।
অপরদিকে বাউসা ইউনিয়নের পীরগাছা গ্রামের কলেজ শিক নবাব আলী বলেন, তেথুঁলিয়ায় আখ ক্রয় কেন্দ্রে প্রতিদিন অধিক পরিমানে আখ কিনে কলেজ মাঠে রাখার কারনে সুগার মিলের ট্রলি সড়কের উপর রাখায় প্রতিদিন ঘটছে দূর্ঘটনা। রাস্তার উপর ট্রলি রাখার কারনে আমি নিজে শনিবার রাতে মোটরসাইকেলে নিয়ে বাড়ি ফেরার সময়ে দূর্ঘটনার শিকার হয়েছি।
এর দু’দিন আগে পল্লী চিকিৎসক মান্নান ও তার স্ত্রী দুর্ঘটনার শিক্ষা হয়েছেন। এ ছাড়াও তিনদিন আগে এক ভ্যান চালক আহত হয়েছেন। সার্বনিক কলেজের সামনে দিয়ে আখ পরিবহন গাড়ীর যাতায়াতের কারণে বিদ্যালয়গামী ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে অভিভাবকরা খুব আতঙ্ক এবং শঙ্কিত রয়েছেন। তাঁরা অবিলম্বে আখ ক্রয় কেন্দ্রটি অন্যত্র স্থানান্তর করার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে কলেজের অধ্য মোজাম্মেল হক সদর বলেন, সুগার মিল কর্তৃপক্ষ আখ ক্রয়ের কোন স্থান না পাওয়ায় জনস্বার্থে কলেজের মাঠটি বরাদ্দ দেয়া দেওয়া হয়েছে। এজন্য তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা দিবেন বলে জানিয়েছেন।
তেথুঁলিয়া আখ ক্রয় কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সিআইসি) হাসিনুর রহমান বলেন, আখ ক্রয় সাময়িক বন্ধ রেখে কেনা আখ-গুলো তুলে নেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্তৃপ যে সিদ্ধান্ত দেন। সে মোতাবেক কাজ করা হবে।
সার্বিক বিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোসা: শাম্মী আক্তার বলেন, এ বিষয়ে অধ্যক্ষ আমাকে কিছু জানায়নি। বিভিন্ন মাধ্যমে জানার পর আখ ক্রয় কেন্দ্রটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে অধ্যকে নির্দেশ দিয়েছি।