সর্বশেষ সংবাদ :

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধ ফটক চালু ও গতিরোধক সংস্কারের দাবি

যবিপ্রবি প্রতিনিধি:
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) প্রধান ফটক সংলগ্ন রাস্তায় অকেজো দুটি গতিরোধকের সংস্কার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান (বর্তমানে বন্ধ) ফটক চালুর দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে মাধ্যম করে প্রধান প্রকৌশলী বরাবর একটি লিখিত আবেদন জমা দেন শিক্ষার্থীরা।

লিখিত আবেদনে বলা হয়, ক্যাম্পাসের সামনের সড়কের গতি নিয়ন্ত্রক দুইটি অকেজো অবস্থায় আছে। আমরা চাই গতি নিয়ন্ত্রকগুলো একটি একটি করে (একবিটের) দুইটি প্রধান ফটকের দুইপাশে স্থাপন করা হোক। এছাড়াও ক্যাম্পাসের পুরাতন একাডেমিক ভবনের পিছনের মাঝ বরাবর একটি ফটক বন্ধ অবস্থায় আছে। উক্ত ফটকটি খুব দ্রুত চালু করা হোক এতে করে অনেক শিক্ষার্থীর সময় অপচয় কমে যাবে এবং ফটকের দুই পাশে দুইটি গতি রোধক বসানো হোক।

এবিষয়ে আবেদনকারী পিটিআর বিভাগের শিক্ষার্থী মো: ফরিদ হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থাকা ছোট ছোট গতিরোধক এখন কার্যত অকেজো হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে গাড়ির চাপের কারণে সেগুলো রাস্তার সমান হয়ে গেছে। ভিসি গেটের সামনের ছোট একটি স্পিড ব্রেকারও যথেষ্ট কার্যকর নয়। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা থেকে আমবটতলা পর্যন্ত সড়কে দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়ে গেছে। এছাড়া পুরাতন একাডেমিক ভবনের সামনের একটি গেট দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। গেটটি বন্ধ থাকার কারণে স্টুডেন্টদের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে অনেকটা ঘুরপথে যেতে হয়। যা সময় ও শ্রমের অপচয়ের পাশাপাশি ভোগান্তির কারণ। গেটটি খুলে দেওয়া হলে শিক্ষার্থীদের এ সমস্যা অনেকটাই দূর হবে। প্রশাসনের এ ব্যাপারে সাহায্য প্রার্থনা করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোঃ আমজাদ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের থেকে আবেদনপত্রটি পাওয়ার পরপরই সেটা আমি প্রধান প্রকৌশলীর কাছে পাঠিয়েছি। শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাধবের জন্য মাঝের বন্ধ গেটটি খুলে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ এবং গতি নিয়ন্ত্রক দুটিও সংস্কার হওয়া জরুরি।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী ড. এইচ. এম. জাকির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন বলে জানান।

সানশাইন / তারেক/শামি


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৪ | সময়: ৮:২৮ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine

আরও খবর