রবিবার, ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
নাটোর প্রতিনিধি :
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত তার সকল প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক বাদ দিয়ে দাদাগীরি করতে গিয়ে এখন নিজেই কুটনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। নিজের দেশের বিদেশী মিশন ও দূতাবাস গুলোকে নিরাপত্তা দিতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।
মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, নেপাল ও বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী সকল রাষ্ট্রকে তারা অবহেলা করে নিজেরাই এখন বিপদগ্রস্থ। ধীরে ধীরে ভারত বিশ্বের মানচিত্রে বন্ধুহীন রাষ্ট্রে পরিনত হচ্ছে। দুলু বলেন, জুলাই আগস্টের বিপ্লব ছিলো বাংলাদেশের গণ মানুষের বিপ্লব। ভারত সরকার ভুলে গেছে একটি দেশের সর্ম্পক হয় আরেকটি দেশের সাথে কোন ব্যক্তির সাথে নয়। কিন্তু ভারত সরকার ও উগ্র হিন্দুরা হাসিনার পতনে মর্মাহত হয়ে বাংলাদেশের সকল মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে আমাদের দেশের হিন্দু-মুসলিম খ্রিস্টানসহ সকল ধর্মের মানুষের চীরদিনের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সুসর্ম্পক নষ্ট করার পায়তারা করছে। চির দিন এদেশের মানুষ হিন্দু-মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টানসহ সকলে মিলেমিশে পাশাপাশি বসবাস করে। এদেশে কখনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হানাহানী বা এজন্য জীবনহানীর ঘটনা ঘটেনি। ভারতেই এসব সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হানাহানী জীবনহানীর ঘটনা ঘটে। তুচ্ছ ঘটনায় তারা হামলা করে মুসলমানদেরকে হ*ত্যা করে। তাই আমাদের দেশের সকল মানুষকে সব সময় সচেতন থাকতে হবে।
পতিত হাসিনা সরকার ও তার দোসরদের দেশের ভিতর বাহির যেকোন ষড়যন্ত্র সর্ম্পকে সজাগ থাকতে হবে। কোন ষড়যন্ত্র টের পেলে দেশের সকল দলমত ধর্ম বর্ণের মানুষ একত্র হয়ে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। আমরা সারাজীবন মিলেমিলে বসবাস করতে চাই। দুলু বলেন, ভারতের উচিৎ ব্যক্তি শেখ হাসিনার শোক ভুলে কোন ব্যক্তি নয় বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সাথে রাষ্ট্র হিসেবে সর্ম্পক বজায় রাখা। শনিবার বিকেলে নাটোর সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নেয়ামত উল্লাহ নান্নুর স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুলু এসব কথা বলেন।
লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শামসুদ্দিনের সভাপতিত্বে স্থানীয় খোলাবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এই স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন, দুলুর সহধর্মীনি ছাবিনা ইয়াসমিন ছবি, নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহবায়ক কাজী শাহ আলম, ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল ইসলাম আবুল ব্যাপারী, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রয়াত নেতা নেয়ামত উল্লাহ নান্নুর ছেলে সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, জেলা যুবদল সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, স্বেচ্ছা সেবক দল সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
সানশাইন / আনোয়ার/শামি