সর্বশেষ সংবাদ :

নিয়ন্ত্রণহীন নিত্য পণ্যের বাজার

নিয়ামতপুর প্রতিনিধি: কয়েক সপ্তাহ ধরে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও কাঁচাবাজারে পণ্যের মূল্য ঊর্ধ্বগতি। পেঁয়াজ থেকে শুরু করে চাল, সবজি কিংবা মাংসসহ সব পণ্যের মূল্য যেন মরুভূমি পাড়ী দেওয়া পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটে চলেছে অবিরাম। শীতে রকমারী শব্জি আমদানী হলেও দাম সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোন পণ্যের দাম নিম্নমুখী না। প্রতি নিয়ত উর্ধ্বগতি। ‘বাজার দর’ কোথায় গিয়ে ঠেকাবে কেউ বলতে পারে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাজার করতে এসে নিয়ামতপুর উপজেলা সদরের কাঁচাবাজারে এক ক্রেতা ক্ষোভ নিয়ে বলছিলেন, কাঁচামরিচ ১শ থেকে ১২০ টাকা কেজি, ৪০ টাকা আঁটি লাউ শাক কিনে খেতে হচ্ছে। শসা ও গাজর এর মতো অপশনাল সবজিগুলো ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। কি শুরু হয়েছে বাজারে! এতো দেখছি পাগলা ঘোড়া। ছুটছে তো ছুটছেই।
নানা পদক্ষেপ গ্রহণের পর বাজারে কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের দাম। নিয়ামতপুর উপজেলা সদরের বাজারে পেঁয়াজের ৮০ থেকে ৯০ টাকা। দেশী পেঁয়াজ ১শ থেকে ১২০ টাকা কেজি। আবার শুক্রবার ৬ ডিসেম্বর টিএলবি বাজারে কাঁচাবাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায় এবং এলসি মিশরের পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মহল্লা বা গলির দোকানগুলোতে লবণ ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি হলেও বাজারের মুদি দোকানগুলোতে লবণ প্যাকেটের গায়ের মূল্যেই বিক্রি করা হচ্ছে। আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, নাজিরশাইল ৫৫-৬০ টাকা এবং মিনিকেট (জিরা) চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।
উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, আস্ত বড় একটি মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা আর কাটা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা।
লাউ এক পিচ ৪৫ টাকা, ফুল কপি প্রতি কেজি ৬০ টাকা,বাঁধাকপি প্রতি পিচ ৫০ টাকা, লতি-৭০ টাকা কেজি, নতুন আলু ১২০ টাকা কেজি, মুলা ৬০ টাকা, গাজর ১শ, করল্লা ১২০, ঢেরষ ৮০, শিম ১২০, পটল ৬০, কাঁচা মরিচ ১শ, পেপে প্রতি কেজি ৫০, শশা প্রতি কেজি ১০১, বেগুন ৭০, ঝিঙ্গা ৭০, বরবটি ৮০, ধনিয়া পাতা ১২০, চিচিঙ্গা ৬০, পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ ৮০ এবং টমেটো ১শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিদেশি রসুন ৩শ টাকা, দেশি ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ও আলু বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। সবজির বাজার নিত্য পরিবর্তন হচ্ছে এবং চরম মাত্রায় অস্থিতিশীল।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে সাইজভেদে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি, কাতলা সাইজ ভেদে ২৮০-৩৫০ টাকা কেজি, শোল মাছ প্রতি পিচ সাইজভেদে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, চিংড়ি সাইজভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি, পুটি মাছ ১৫০-২০০ টাকা কেজি, টেংড়া প্রতি কেজি ৫৫০-৬০০ টাকা, পাঙ্গাস মাছ ১শ ৪০ থেকে ১৬০ টাকা এবং ইলিশ মাছ বড় সাইজ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪শ টাকা কেজি দরে। ক্রেতা ও বিক্রেতারা বলছেন মাছের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল।
বাজারগুলোতে কেজি প্রতি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬শ ৫০ টাকা, খাসির মাংস ৯২০ এবং বকরি ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা কেজি দরে।
মুরগী: ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১শ ৭০ টাকা কেজি, লেয়ার ৩শ, দেশি ৪০০, পাকিস্তানি মুরগী বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকা কেজি দরে।
বাজারে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা দরে।
কাঁচামালের খুচরা ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা বলছেন, আগামী সপ্তাহে নিত্য প্রয়োাজনীয় দ্রব্যের দাম আরো বাড়তে পারে। বিশেষ করে সবজি ও অন্যান্য কাঁচামালের দাম বাড়বে।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৪ | সময়: ৫:৫৯ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ