রবিবার, ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার, গোদাগাড়ী: ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে ও ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে গোদাগাড়ীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও তৌহিদি জনতা।
শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে গোদাগাড়ী সদর ডাইং পাড়া স্বাধীন চত্বরে এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে তারা।
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে হাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
এ সময় গোদাগাড়ী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক রহমত আলী, মাওলানা দূরুল হুদা, মাওলানা মাহবুব আলম,মাওলানা নোমান, ছাত্রদল নেতা রানা, ইউসুফ বক্তব্য রাখেন।
মাওলানা দূরুল হুদা বলেন, ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের হাই কমিশনে যে হামলা, ভাংচুর এবং আমাদের জাতীয় পতাকা পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে, সেই ঘটনার জন্য এদেশে ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে সরকারকে জবাবদিহি চাইতে হবে। জাতীয় পতাকা পোড়ানোর ঘটনায় আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
ভারত সরকারকে বলেছি, যেসব সন্ত্রাসী এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে।
সমাবেশে বক্তরা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ভারত বাংলাদেশে তার আধিপত্যবাদ বিস্তারের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে ভারত তার আধিপত্যবাদের শেকড় অনেক গভীরে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়। কিন্তু গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা ভারতীয় আধিপত্যবাদ উপড়ে ফেলেছে। আমরা অতীতে সীমান্তে ফেলানী হত্যা, স্বর্ণা দাসকে হত্যা করার ঘটনা দেখেছি। ভারত বিরোধী কথা বলায় আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগ নৃশংসভাবে খুন করেছিল। ইসকনের সন্ত্রাসীরা আইনজীবী আলিফকে খুন করেছে।
আওয়ামী লীগ ও ভারতের যৌথ ষড়যন্ত্রে এমন ঘটনা দাবি করে সব ধরনের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সব ধর্ম বর্ণের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তারা।