শনিবার, ১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
মিজানুর রহমান,চারঘাট:
রাজশাহীর চারঘাট-বাঘা উপজেলার হাট-বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না বোতলজাত সয়াবিন তেল। যদিও দু একটি দোকানে পাওয়া গেলেও বোতালের গায়ে লিখা দামের চেয়ে অধিক দাম আদায় করা হচ্ছে। এ নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়াচ্ছেন দোকানীরা। গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলা সদরসহ অধিকাংশ মুদি দোকান থেকে বোতলজাত এ ভোজ্যতেলটি যেন বাজার থেকে হাওয়া হয়ে গেছে। তবে অধিক মুনাফা লোভি দোকানীরা বোতলজাত সয়াবিন তেলের বোতল কেটে রাতের আধারে ড্রামে ঢেলে খোলা সয়াবিন হিসেবে বিক্রি করছে অধিক দামে। এমন অভিযোগ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
জানা যায়, হঠাৎ করে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে ১৬৫ টাকা লিটার বিক্রি করা হলেও ২০ টাকা দাম বৃদ্ধি পেয়ে এখন তা ১৯০ চাকা-২০০ টাকা লিটার বিক্রি করা হচ্ছে। বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি না পাওয়ায় দোকানীরা বোতলের মুখ কেটে ড্রামে ঢেলে তা খোলা সয়াবিন হিসেবে অধিক দামে বিক্রি করছেন। তবে কিছু কিছু দোকানে বোতলজাত সয়াবিন পাওয়া গেলেও বোতলের গায়ে লিকা দামের চেয়ে অধিক দাম আদায় করা হচ্ছে ক্রেতাদের কাছ থেকে। এ নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে দেকানীদের ঝামেলা হচ্ছে হর হামেশায়। বাজার থেকে হাওয়া হয়ে যাওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনতে পারছেন না।
মঙ্গলবার চারঘাট সদর বাজারে বাজার করতে আসা রবিউল ইসলাম বলেন, কয়েকটি দোকানে গিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাইনি। আমি সব সময় বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনে থাকি। কিন্তু বোতলজাত সয়াবিন না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে আমি খোলা সয়াবিন তেল কিনেছি। তাও আবার দাম বেশি। এক লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ২০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। এখন দেখছি বোতলজাত সয়াবিন তেলের চেয়ে খোলা সয়াবিন তেলের দাম আরো বেশি।
কাকড়ামারী এলাকার মুদি দোকানি শফিকুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে কোম্পানির ডিলাররা তেল দিচ্ছে না। তাই আমরা খোলা সয়াবিন তেল ১৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।
চারঘাট বাজারের মুদী ব্যবসায়ী পবন আগরওয়ালা বলেন, খোলা সয়াবিনের দাম বৃদ্ধির কারনে কোম্পানীর লোকজন বোতলজাত সয়াবিন দিচ্ছে না। ফলে খোলা সয়াবিন ১৮০ টাকা লিটার বিক্রি করছি। অধিক দাম নেয়ার সুযোগ নেই।
বিষয়টি সম্পর্কে চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সানশাইন/ শামি