ই-পেপার
সর্বশেষ সংবাদ :

শীতের আগমনে লেপ তোষক বানানোর ধুম

নুরুজ্জামান, বাঘা: শীতের আগমনে সীমান্ত ঘেষা রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোশক কারিগরেরা। আর অল্প কিছুদিন পর জেগে বসবে তিব্র শীত। এ কানণে এবার শীতের আমেজ টের পাওয়ার আগেই লেপ-তোশকের দোকানে ভিড় জমতে শুরু করেছেন অনেকে। তবে তুলা, লেপের কাপড়, ফোমের দাম ও মজুরি গত বছরের তুলনায় বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, বাঘা নদী মার্তৃক ও সীমান্তবর্তী উপজেলা হওয়ায় এখানে শীতের পার্দুভাব অনেক বেশি। তাই শীতের আগমনে এবার আগাম লেপ-তোষক বানানোর ধুম পড়েছে। সাধারণ মানুষ প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত লেপ-তোষকের দোকানে ভীড় করছে।
অপর দিকে মধ্যবিত্ত এবং একটু অবস্থাশালীদের লক্ষ্য করা যাচ্ছে উপজেলার স্থায়ী বড়-বড় কাপড়ের দোকান গুলোতে কম্বল ক্রয় করতে। তবে তুলা, লেপের কাপড়, ফোম এবং মুজুরী সব মিলে গত বছরের তুলনায় এ বছর খরচ কিছুটা বেশী বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
বাঘার বিশিষ্ট জনরা জানান, এবার জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কার্তিক-অগ্রাহণ থেকেই মোটামুটি শীত শুরু হয়েছে। এর তীব্রতা সামনে আরো বাড়বে বলে মনে করছেন অনেকেই। নানা কারণে শীত শুরু হওযার প্রাককালে এবার নানা রকম গরম কাপড় বিক্রয় থেকে শুরু করে লেপ-তোশকের কারিগরেরা খুব ব্যস্ত সময় পার করছেন। সেই সাথে অর্ডারও অনেক বেশি পাচ্ছেন।
এদিকে দেশের উত্তরের জনপদ হিসাবে পরিচিত রাজশাহীর বাঘার পদ্মার চরাঞ্চলে সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথেই শীতের তীব্রতা দেখা দিচ্ছে। এই শীতে উষ্ণতা ছড়াতে লেপ-তোষকের জুড়ি নেই। এর ফলে উপজেলা সদরে লেপ-তোষকের দোকান গুলোতে চলছে লেপ বানানোর ধুম। অনেকেই পুরোনো লেপ-তোশকের কভার পাল্টিয়ে নিচ্ছেন। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এবার শীতের তীব্রতা বাড়বে বলে মনে করছেন অনেকেই।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বাঘায় প্রায় অর্ধ শতাধিক লেপ-তোষকের দোকান রয়েছে। শীত মৌসুমে ব্যবসায়ীরা রেডিমেট লেপ তোষক তৈরি করে তা বিক্রি করছেন। অপর দিকে প্রতি বছর বাঘা মাজার গেটের সামনে ঐতিহাসিক তেঁতুল তলায় উন্মুক্ত জায়গায় গরম পোশাক বিক্রী করা হলেও এবার তাদের জন্য টিন সেড ‘বাঘা হায়াত আলী বঙ্গ বাজার’ তৈরী হওয়ায় মানুষ সেখানে সোয়েটার, জ্যাকেট, টাওজার ও মাপলার সহ নানা রকম গরম পোশাক ক্রয় করছেন।
উপজেলার বাঘা পৌর এলাকার ওহিদুর রহমান ও চরাঞ্চলের শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার লেপ-তোশকের দাম একটু বেশি। গত এক সপ্তাহ থেকে শীত অনুভূত হওয়ায় লেপ কিনতে এসেছেন তারা। তবে এবারে লেপের জন্য তুলার দাম গত বছরের চেয়ে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি নিচ্ছেন বিক্রেতারা। তারা এ বিষয়ে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।


প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২৪ | সময়: ৫:১১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর