মঙ্গলবার, ২৫শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
নওগাঁর বদলগাছীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নিয়োগ বাতিলের দাবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা আমরণ অনশন শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের নিচতলায় গেটের সামনে জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বদলগাছী প্রতিনিধি আতিকুর রহমান শুভর নেতৃত্বে আমরণ অনশন শুরু হয়। এতে জেলা থেকে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল ফজলে রাব্বি,রাফি রেজওয়ান,মেহেদী হাসান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জয়পুরহাটে গুলিবিদ্ধ রাকিব হোসেন’সহ সদরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্রবৃন্দ অনশনে অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি তার বক্তব্যে বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় যে ভাবে দেশ চলেছে এখনও ঐ ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসরেরা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে বহাল তবিয়তে রয়েছে। তারাই ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা না জানিয়ে এখনও অনিয়ম দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে। তারা দেশ ও জাতির শত্রু। এর ধারাবাহিকতায় বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পরোক্ষ সহযোগিতায় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাবরিন মোস্তারী অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে তার পছন্দের লোকদের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগ দিয়েছে। তারা আরও বলেন, যতক্ষণ ডিলার নিয়োগ বাতিল না হবে ততক্ষণ আমরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবো।
উল্লেখ্য- গত ১২ নভেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাবরিন মোস্তারী তার পছন্দের লোকদের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ জন ডিলার নিয়োগ দিলে উপজেলায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। যার প্রেক্ষিতে কয়েকজন ডিলার প্রাপ্তির জন্য আবেদনকারী পরের দিন ১৩ নভেম্বর খাদ্যনিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে ডিলার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি কমিটির সভাপতি মাহবুব হাসানের নিকট অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাবরিন মোস্তারিকে নিয়োগ প্রাপ্ত ডিলারদের মধ্যে অভিযুক্তদের ডিলারি কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ দেয়। কিন্তু খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাবরিন মোস্তারী ইউএনও এর নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে তার সিদ্ধান্তে অটল থাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগকৃত ডিলারদের নিয়োগ বাতিলের দাবীতে আমরণ অনশন শুরু করেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাবরিন মোস্তারীর মন্তব্য জানতে তার কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। গোপন একটি সূত্র জানিয়েছে তিনি সকালে অফিসে এসেছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আনাগোনা বুঝতে পেরে অফিস থেকে দ্রুত সটকে পরেন।
খাদ্য বান্ধব কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা যে অনশণ শুরু করেছিল আমি তাদের সাথে কথা বলেছি এবং তাদের আশ্বস্ত করেছি ডিলার নিয়োগে যেখানে যেখানে অসচ্ছতা রয়েছে সেই বিষয়ে আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। শীঘ্রই মিটিং বসিয়ে নিয়োগকৃত ডিলারদের মধ্যে সংশোধনী আনা হবে।
সানশাইন / শামি