রবিবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
আদমদীঘি প্রতিনিধি: সরকার পলিথিন নিষিদ্ধ করেছে। এরপরেও থামানো যাচ্ছে না পলিথিনের ব্যবহার। ইতোমধ্যেই সরকার এ বিষয়ে আরো কঠোর হওয়ার কথা বলেছে। তারই একটি চিত্র দেখা গেল বগুড়ার আদমদীঘিতে। পলিথিন (প্লাস্টিক) বিরোধী অভিযানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আদমদীঘি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আদমদীঘি শাখার প্রতিনিধি আল ফাহাদ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ বলেন, সরকার পলিথিন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। সারাদেশে জেলা-উপজেলাতে পলিথিন (প্লাস্টিক) বিরোধী অভিযান শুরু করেছেন। সারাদেশের ন্যায় বগুড়ার আদমদীঘিতে এই অভিযান কার্যক্রম শুরু হয়।
আদমদীঘি বাজারের সবুজ নামে এক যুবক জানান, পলিথিন নিষিদ্ধ এটা সবাই জানে। কিন্তু ক্রেতা থেকে শুরু করে বিক্রিতা পর্যন্ত কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। কোন কিছু কিনতে এসে ক্রেতাও চায় পলিথিন। অন্যদিকে বিক্রিতারাও তাদের পণ্য পলিথিনে ভরে দেন।
রুবেল নামে আরো এক ব্যক্তি বলেন, সহজের পাওয়া যায় বলে মানুষ নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও তা গ্রহণ করছে। আসলে নিজে সচেতন হতে হবে। তা না হলে এর ব্যবহার বন্ধ করা যাবে না। আমাদের চিন্তা করতে হবে এ পলিথিন ব্যবহার করে আমরা নিজেরাই আমাদের কি ক্ষতি করছি। এভাবে চলতে থাকলে মাটি তার উর্বরতা হারাবে। মানুষের শরীরে দেখা দিবে নানান ধরনের রোগ। এ সচেতনতা নিজের ঘর থেকে তৈরি করতে হবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার মাছ বাজার, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার, বিভিন্ন সামগ্রীর দোকানে পলিথিন ব্যবহার না করতে সকলকে নিষেধ করা হয়। বাজারে ছোট-বড় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, পলিথিন ব্যবহারের কারণে আমাদের পরিবেশে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এর থেকে আমাদের সকলকে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে কঠোরভাবে আমরা কাজ করবো। ইচ্ছে করলে আমরা পলিথিনের পরিবর্তে পাটজাত দ্রব্য ব্যবহার করতে পারি। এটার বাস্তবায়ন করা এখনও সম্ভব। সরকারও এ বিষয় নিয়ে খুবই তৎপর রয়েছে। অন্যথায় এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।