রবিবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা:
রাজশাহীর বাঘায় প্রতিবারের ন্যায় র্যালি, জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে ৫৩ তম জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। শনিবার (২- অভেম্বর) ‘‘সমবায়ে গড়ব দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’’ প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও সমবায় অধিদপ্তর এর আয়োজন এ দিবসটি পালন করা হয়।
সকাল ১১ টায় বাঘা উপজেলা সম্মেলন কক্ষে উপজেলা সমবায় অফিসার মোহাঃ আব্দুল মকিম এর সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) সাবিহা সুলতানা ডলি বলেন, অর্থনৈতিক মুক্তি ও দারিদ্র বিমোচনের লক্ষে উন্নত দেশের আদলে আমাদের দেশের যুবকদের নিয়ে সমবায় সমিতি কার্যক্রম চালু করা হয়। অসংখ্য বেকার যুবক এই সমিতির মাধ্যমে ঋণ ও প্রশিক্ষন নেয়ার মাধ্যমে সাবলম্বী হয়েছেন। আমার বিশ্বাস সুবিধাভোগীরা তাঁদের পরিশ্রম এবং ভাগ্যে উন্নয়নের লক্ষে সামনের দিন গুলোতে আরো ভালো কিছু করবে। এ সময় বিশেষ অথিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জেলা কমিটির সদস্য এবং অব:সর প্রাপ্ত সহকারি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন।
এর আগে সমবায়ের মূল নীতি উপস্থাপন করে স্বাগত বক্তব্য দেন সহকারি সমবায় অফিসার আরজিনা খাতুন। তিনি বলেন, একতা,সততা ও সমাঝোতা হচ্ছে সমবায়ের মূলনীতি। একতাই বল এ চিরন্তন সত্যকে প্রতিনিধিত্ব করে সমবায়। ইউরোপে শিল্প বিপ্লবকে কেন্দ্র করে এর উৎপত্তি। ব্রিটিশ ভারতের লর্ড কার্জন সর্ব প্রথম ১৯০৪ সালে সমবায় আইন জারি করেন। এই আইনের মাধ্যমেই উপমহাদেশে সমবায় আন্দোলনের অভিযাত্রা শুরু হয়।
এদিকে সমবায় অফিসার মোহাঃ আব্দুল মকিম তাঁর বক্তব্যে বলেন,দশে মিলে করি কাজ,হারি জিতি নাহি লাজ.দশের লাঠি একের বোঝা-বহুল প্রচলিত প্রবাদ বাক্য গুলো নিয়ে বাংলাদেশে সমবায় আন্দোলনকে অগ্রসর হতে হয়েছে। মূলতঃ সমবায় হলো সহযোগিতার মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্যে উন্নয়ন। যা নিজেদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে এবং গণতান্ত্রিক ভাবে পরিচালনা করে। সমবায় ভিত্তিক ব্যবসা নিয়ে শিার যে ধারায় পড়ানো হয় তা সমবায় অর্থনীতি নামে পরিচিত।
এ সভায় সুখি,সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রতিবন্ধী সাহায্য ও সেবা কেন্দ্রের অফিসার মুনসুর রহমান, বাঘা থানা গ্রাম্য চিকিৎসক সমিতির সাধারন সম্পাদক,সাংবাদিক আব্দুল লতিফ মিঞা, সমবায়ী আদুরি খাতুন ও আমিরুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন, নিবন্ধিত সমবায় সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক-সহ উক্ত অধিদপ্তরের সদস্যগন,সুধী জন ও স্থানীয় সুশীল সমাজের নেকৃবৃন্দ।