সোমবার, ৪ঠা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
সানশাইন ডেস্ক: শাহবাগ, বাড্ডাসহ বিভিন্ন থানার মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক চার মন্ত্রীসহ আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪১ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
ঢাকার মহানগর হাকিম মো শরীফুর রহমান ও মো. ইমরান আহম্মেদের পৃথক আদালত শুনানি শেষে বুধবার এ আদেশ দেন। রিমান্ডে পাঠানো চার মন্ত্রী হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক নৌমন্ত্রী শাহাজাহান খান ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
বাকি চারজন হলেন- সাবেক এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিম, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। এই আটজন সরকার পতনের পর বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন; সেসব মামলায় তাদের দফায় দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে পুলিশ।
বুধবার সকালে তাদের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আদালতে নেওয়া হয়। শুনানি শুরুর পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা রিমান্ড আবেদন করলে তা মঞ্জুর করেন বিচারক। রাজধানীর পৃথক দুই মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে আট দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে হাই কোর্টের জাল ভোটের ঘটনায় শাহবাগ থানায় করা মামলায় পাঁচ দিন ও বাড্ডা থানার হত্যা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার মামলায় সাধন চন্দ্রের তিন দিন এবং যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় শাহজাহান খানের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। এছাড়া ধানমন্ডির থানার হত্যা মামলায় ইনুকে পাঁচদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। ধানমন্ডি থানার মামলায় পুলিশের সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনের তিন দিন ও বংশাল থানার মামলায় চারদিন রিমান্ড হয়েছে।
এছাড়া নিউ মার্কেট থানার মামলায় জিয়াউল, চকবাজার থানার মামলায় হাজী সেলিম এবং সৈকতের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। আনিসুল হককে রাজধানীর সদরঘাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সরকার পতনের পরপর গত ১৩ অগাস্ট। ওই মাসেরই ২৬ তারিখে ইনুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে উত্তরা থেকে। ধানমন্ডি থেকে শাহাজান খান গ্রেপ্তার হন গত ৫ সেপ্টেম্বর। আর সাধন চন্দ্রকে গত ৩ অক্টোবর রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয় গত গত ১৬ আগস্ট রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে। এর গত ১৪ অগাস্ট নিকুঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন ছাত্রলীগ নেতা সৈকত। গত ১ সেপ্টেম্বর পুরান ঢাকার বংশাল এলাকা থেকে হাজী সেলিমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এর দুদিন পর ৩ সেপ্টেম্বর রাতে পুলিশের সাবেক আইজিপি মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।